পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হামির-মাতা সে আজ অনেক দিনের কথা-চিতোরের রাণা লক্ষ্মণ সিংহের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ অমর সিংহ একদিন মৃগয়া করিবার নিমিত্ত অনুচরগণসহ আন্দাবা নামক এক বনে যান । তথায় একটি বৃহদাকার বরাহ দেখিতে পাইয়া রাজকুমার তৎপ্ৰতি লক্ষ্য করিয়া তীর নিক্ষেপ করেন। সেই দুর্দান্ত বন্যপশু প্ৰাণভয়ে ভীত হইয়া নিকটবৰ্ত্তী একটি শস্যক্ষেত্রে গিয়া আশ্রয় গ্ৰহণ করে। একটি যুবতী একটি উচ্চ মাচার উপর বসিয়া শস্যক্ষেত্রে পাহারা দিতেছিল। সে রাজপুত্র ও তাহার অনুচরগণকে শস্যক্ষেত্রের দিকে অগ্রসর হইতে দেখিয়া উচ্চৈঃস্বরে চীৎকার করিয়া কহিল, “রাজপুত্র । আপনি সদলবলে শস্যক্ষেত্রে প্রবেশ করিলে সমস্ত শস্য আপনার অনুচরগণের পদতলে নিম্পেষিত হইবে, আপনি দয়া করিয়া শাস্তক্ষেত্রের বাহিরে দাড়ান, অনুচরগণের প্রতিও উক্ত রূপ আদেশ করুন। আমি বরাহটি মারিয়া দিতেছি।” সেই শস্যক্ষেত্রে ছয় সাত হাত লম্বা জনার গাছ জন্মিয় ছিল, সেই যুবতী একটি জনার গাছ উপড়াইয়া তাহার অগ্রভাগটা সরু করিয়া ভল্লের মত করিয়া লইল এবং সেই ভল্পের এক আঘাতে দুৰ্দান্ত বরাহটিকে তৎক্ষণাৎ নিপতিত করিল। রাজপুত্র ও সৈন্যসামন্ত সকলে কৃষকবালার অসমসাহসিকতা-দর্শনে বিস্মিত ও স্তম্ভিত হইল। কৃষক-যুবতীকে প্ৰশংসা করিতে করিতে রাজপুত্র ও অনুচরগণ শিবিরে ফিরিলেন। তঁহারা শিবিরে আসিয়া বিশ্ৰাম করিতেছেন, এমন সময় একখানি প্রস্তর আসিয়া রাজপুত্রের অশ্বটির পায়ে লাগিল, অশ্বট উন্মত্যন্ত বলবান হইলেও সেই প্রস্তরের আঘাতে ছট্‌ফট্‌ করিতে