পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধাত্রী পান্না বৃহৎ ফলুের ঝুড়ি পড়িয়া ছিল, ধাত্রী অতি অন্তর্পণে নিদ্রিত রাজকুমারকে তন্মধ্যে স্থাপন করিল এবং কতকগুলি বৃক্ষপত্র দ্বারা সেই ঝুড়িটি সুন্দরীরূপে আচ্ছাদিত করিয়া সেই নাপিতের হস্তে অৰ্পণ করিল। ধাত্রী পান্নার আদেশে নাপিত তৎক্ষণাৎ চিতোরের ভাবী উত্তরাধিকারীকে লইয়া দ্রুতবেগে প্ৰস্থান করিল। এদিকে ধাত্রী পান্না রাজকুমারের স্থলে নিজের শিশুপুত্রটিকে সেই স্থানে শায়িত করিয়া রাখিল। এমন সময় বনবীর অসিহন্তে প্ৰকোষ্ঠমধ্যে আসিয়া উদয় সিংহের বিষয় জিজ্ঞাসা করিলেন । ধাত্রী পান্না বনবীরের সেই ভীষণ মূৰ্ত্তি-দর্শনে আর কোন কথা বলিতে পারিল না-থর থর করিয়া তাহার সমস্ত দেহ কঁাপিতে লাগিল । তিনি ইঙ্গিতে আপন পুত্রটিকে যে স্থানে শায়িত রাখিয়াছিলেন, সেই স্থান দেখাইয়া দিলেন । বনবীর আর কালবিলম্ব না করিয়া সেই তীক্ষু তরবারি ধাত্রীপুত্রের বক্ষে বসাইয়া দিলেন। মহুৰ্ত্তে একটি নির্দোষ শিশুর রক্তে চিতোর-প্ৰাসাদ অনুরঞ্জিত হইল। আপনার চক্ষের সমক্ষে আপন পুত্ৰ ঘাতকের অসির আঘাতে নিহত হইল! কৰ্ত্তব্যের কি কঠোরতা ! ধাত্রী পান্না একবার পুত্ৰশোকে প্ৰাণ ভরিয়া কঁাদিতে পারিল না। এমন কি বনবীরের ভয়ে একবিন্দু অশ্রু পৰ্য্যন্ত ত্যাগ कद्रिgऊ 2iझेिल्न ना । চিতোরের পশ্চিমপ্রান্তবাহিনী বেরীশ নদীর নিভৃত তীরে নাপিত রাজকুমারকে লইয়া পান্নার প্রতীক্ষা করিতেছিল। ধাত্রী তথা হইতে রাজকুমারকে লইয়া আশ্ৰয় জন্য নানাস্থানে ভ্ৰমণ করিল ; কিন্তু দুরন্ত বনবারের ভয়ে কেহ তাহাকে স্থান দিল না । পরিশেষে কমলমীরে আশা সাহ নামক এক ব্যক্তির নিকট উপস্থিত হইয়া শিশু রাজকুমারকে তাহার ক্ৰোড়ে স্থাপনপূর্বক কঁাদিতে কঁাদিতে বলিলেন, “আপনার রাজার প্রাণ আপনি রক্ষা করুন।” আশা প্ৰথমে বনবীরের ভয়ে