পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रांौ फूर्शींबडी Σ Οδ. দলপৎ সহ বহুসংখ্যক সৈন্য-সামন্ত সমভিব্যাহারে আসিয়া মহারাজকে পরাজিত করিয়া দুৰ্গাবতীকে লইয়া স্বরাজ্যে প্ৰস্থান করিলেন। দুৰ্গাবতী গড়মণ্ডলের মহিষীর আসনে উপবেশন করিয়া পবিত্র দাম্পত্য সুখে কালান্তিপাত করিতে লাগিলেন। কিন্তু দুৰ্গাবতীর ভাগ্যে বেশী দিন স্বামীর সহিত ঘর-সংসার করিবার সৌভাগ্য হইল না। বিবাহের চারি বৎসর পরে একটি শিশু পুত্র রাখিয়া রাণী দুৰ্গাবতীকে ও লক্ষ লক্ষ প্ৰজামণ্ডলীকে অতুল শোক-সাগরে ভাসাইয়া রাজা পরলোকে গমন করিলেন। রাণী দুৰ্গাবতী সেই শিশু পুত্রের অভিভাবিকারূপে গড়মণ্ডল রাজ্য শাসন করিতে লাগিলেন। প্ৰজার রাজার মৃত্যুতে পিতৃহারা হইয়াছিল, কিন্তু রাণীর সুশাসনে তাহারা সে শোক ভুলিয়া গেল । কিন্তু এই সময় আর এক অঘটন ঘটিল । সম্রাট আকবর ভারতে একচ্ছত্র আধিপত্য প্ৰতিষ্ঠা করিবার মানসে নানাদিকে সৈন্যসামন্ত প্রেরণ করিতে লাগিলেন। গড়মণ্ডলের প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য ও ধনসমৃদ্ধির কথা তাহার কর্ণগোচর হইবামাত্র তিনি আসক খায়ের অধীনে একদল সেনানী পাঠাইয়া দিলেন। আসক খা গড়মণ্ডলে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, এমন নৈসৰ্গিক শোভা-সম্পদে সম্পদমান রাজ্য তিনি জীবনে কখনও দেখেন নাই ; বিশেষতঃ রাজ্যের শাসনকত্রী একজন রমণী বলিয়া তাহার দৃঢ় বিশ্বাস হইল, বিনা যুদ্ধেই এমন রাজ্য তিনি অধিকার করিতে পারিবেন। কিন্তু আসক খা ভুল বুঝিয়াছিলেন। তিনি জানিতেন না, রাজপুত-রমণী কাল-ভুজঙ্গিনী স্বদেশের স্বাধীনতার রক্ষার জন্য-আপিন ধৰ্ম্মরক্ষার জন্য তাহারা যেমন জলন্ত হুতাশনে পুড়িয়া মরিতে পারে-তেমনি অসিহন্তে যুদ্ধও করিতে পারে। আসক খাকে গড়মণ্ডল আক্রমণ করিতে দেখিয়া রাণী দুগাবতী তাহাকে প্ৰজাপুঞ্জকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “এতদিন যে গড়ের