পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रांौ ऊदांनी У ОС কাশীধাম মহারাণী ভবানীর অন্নসত্র অব্যাহতভাবে চলিতেছে। কাশীর সীমানায় তিনি যেমন এক একটি শিব প্ৰতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, তেমনি সেই সেইস্থানে এক একটি বৃক্ষ প্ৰতিষ্ঠা করিয়া তাহার পার্থে কুপ খনন করাইয়া দিয়াছিলেন। যাহাতে পথশ্ৰান্ত পথিক সেই স্থানে বিশ্রাম করিতে পারে, তদুদ্দেশ্যে প্ৰতি বৃক্ষের নিকট এক একটি স্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন। শুধু কাশীধামে নহে, বঙ্গদেশেও যে তিনি কত ব্ৰহ্মোত্তর ও দেবোত্তর সম্পত্তি দান করিয়া গিয়াছেন, তাহার আর তুলনা নাই। বিধবাদিগের জন্যও তিনি গঙ্গাতীরে এবং কাশীধামে বহু আশ্রম নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন । ইহার পর রাণী ভবানীকে আর এক কঠোর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হয়। সেই পরীক্ষায় তাহার প্রাণ দীনদুঃখী আৰ্ত্তের জন্য যে কিরূপ কঁাদিত তাহার পরিচয় পাওয়া যায়। পলাশীর যুদ্ধের পর ১৭৬৫ খ্ৰীষ্টাব্দের ১২ই আগষ্ট ‘ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী” দিল্লীর নামমাত্র সম্রাটু KD BBDBB BDD DBBBDuD DBBDBDSBBD Di DDBB DBBBDS DDSDD করেন। সম্রাটুকে বার্ষিক ছাব্বিশ লক্ষ টাকা রাজকরা প্ৰদান করিয়া কোম্পানী দেশের রাজস্ব সংগ্ৰহ করিবেন, ইহাই স্থির হয়। ১৭৬৬ খৃষ্টাব্দে ক্লাইব বাঙ্গালার গবর্ণর হইয়া আসেন, তদবধি বাঙ্গালায় সত্য সত্যই কোম্পানীর রাজত্ব প্ৰতিষ্ঠা হয়। পলাশীর যুদ্ধের পর প্রথম তিন বৎসরের মধ্যে মীরজাফর সিংহাসনচ্যুত হন, মীরকাশিম নবাবী প্ৰাপ্ত হন। আবার পরবত্তী তিন বৎসরের মধ্যে মীরকাশিম সিংহাসনচু্যত হইয়া অতি কষ্টে দীন ভিখারীর ন্যায় কালাতিপাত করিবার পর মৃত্যুমুখে পড়িয়া সকল জ্বালা হইতে অব্যাহতি পান। তৎপর মীরজাফর আবার দুই বৎসরের জন্য নবাবী পান এবং সেই দুই বৎসর মাত্র রাজ্য ভোগ করিয়া মৃত্যুমুখে পতিত হন। পরিশেষে ১৭৬৫