পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতাদেবী ( যেকোপযোগী বেশ পরিত্যাগ করিয়া বনে যাইতে প্ৰস্তুত হইলেন। লক্ষ্মণ তাহ শুনিয়া রামের অনুগামী হইতে ইচ্ছা জানাইলেন। সীতাদেবী কোনক্রমে পতিহারা হইয়া রাজপ্রাসাদে থাকিতে সম্মত হইলেন না। তিনি বলিলেন, “তুমি আমার স্বামী, তুমি যেখানে থাকিবে তাহা গহন বন হইলেও আমার নিকট স্বৰ্গতুল্য। তোমার দেহ যখন পথশ্রান্তিতে ক্লান্ত হইবে, তখন আমি তোমাকে বীজন করিয়া নারীজীবনের কৰ্ত্তব্য সম্পন্ন করিব-তোমাকে ছাড়িয়া অযোধ্যার রাজপ্রাসাদ আমার নিকট বিষন্তুল্য-বিশুষ্ক মরুভূমি।” কৌশল্যা ও সুমিত্রার নিকট বিদায় লইয়া সুমন্ত্র সারথির সহিত রাম, লক্ষ্মণ, সীতা প্ৰথমে চিত্ৰকূট পৰ্বতে আসিলেন। র্তাহারা যে সময় অযোধ্যা হইতে যাত্রা করেন, সে সময় ভরত নন্দীগ্রামে তাহার মাতুলালয়ে ছিলেন। তিনি অযোধ্যায় ফিরিয়া আসিয়া শুনিলেন, রাজা দশরথ প্ৰাণত্যাগ করিয়াছেন এবং রাম, লক্ষ্মণ, সীতা বনে গিয়াছেন। শোকে, দুঃখে, লজ্জায় ভরত আর কালবিলম্ব না করিয়া চিত্ৰকুটে উপস্থিত হইলেন ; রাম-লক্ষ্মণ ও সীতাকে অযোধ্যায় ফিরিবার জন্য কত অনুরোধ করিলেন। কিন্তু রামচন্দ্ৰ বলিলেন, “পিতৃ-সত্যপালন না হইলে আমি কখনও দেশে ফিরিব না।” ভারত অগত্য রামচন্দ্রের কাষ্ঠপাদুকা লইয়া নন্দীগ্রামে ফিরিয়া আসিলেন এবং সিংহাসনের উপর তাহা স্থাপন করিয়া রামচন্দ্রের নামে রাজ্যশাসন করিতে লাগিলেন । এদিকে চিত্ৰকুট হইতে রাম-লক্ষ্মণ-সীতা গোদাবরী-নদীতটে পঞ্চবটী বনে উপস্থিত হইলেন। পঞ্চবটীর নৈসগিক শোভাসম্পদ দর্শন করিয়া সীতাদেবী পরম পুলকিত হইলেন। রাজহংসের সহিত তিনি গোদাবরী-সলিলে ক্ৰীড়া করিতে লাগিলেন ; কুরঙ্গ-কুরঙ্গিণীগণের সহিত DD BBD DBD DBBDSS DDBBB Du DB DBB BDBDBD