পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V ংশ-পরিচয় লঙ্কাধিপতি রাক্ষসরাজ রাবণের ভগিনী সুৰ্পণখা আসিয়া লক্ষ্মণকে বিবাহ করিতে বলে। লক্ষ্মণ তাহার নাক-কান কাটিয়া দেন। ইহাতে সূৰ্পণখা ক্ৰোধে আত্মহারা হইয়া লঙ্কায় গিয়া অগ্রজ রাবণের নিকট অভিযোগ করে। তখন রাবণের আদেশে মারীচ নামে এক রাক্ষস মায়ামৃগ সাজিয়া পঞ্চবটী বনে রামচন্দ্রের আশ্রমের সম্মুখ দিয়া চলিয়া গেল। সীতাদেবী সেই মায়ামৃগ ধরিয়া দিবার জন্য স্বামীকে অনুরোধ করিলেন। কপট মৃগ এক গহনবনে। গিয়া “কোথা রে ভাই লক্ষ্মণ” বলিয়া চীৎকার করিল। সীতা সেই স্বরা শুনিয়া রামচন্দ্ৰকে রক্ষা করিবার জন্য লক্ষ্মণকে প্রেরণা করিলেন। লক্ষ্মণ প্ৰথমে যাইতে সম্মত না হইলে সীতাদেবীর ভৎসনায় তাহাকে যাইতে হয়। ইত্যবসরে যোগীর ছদ্মবেশে দুষ্ট রাবণ সীতাদেবীকে একাকিনী পাইয়া র্তাহাকে বিমানে তুলিয়া লঙ্কায় লইয়া যায় এবং অশোক বনে রাখে। সীতাদেবী রাবণের ভয়ে বিন্দুমাত্র ভীত না হইয়া স্পষ্টতঃ তাহাকে বলেন যে তঁহার দেহ খণ্ড খণ্ড করিয়া কাটিলেও তিনি রামভিন্ন অন্য কাহাকেও হৃদয়ে স্থান দিবেন না। সীতার কথায় রাবণ তৎপ্ৰতি কুপিত হইয়া নারীরীক্ষীদিগের দ্বারা তাহার প্রতি অসীম অত্যাচার করিতে থাকেন । এদিকে সীতাকে অন্বেষণ করিতে করিতে রাম-লক্ষ্মণ ঋষ্যমুখ পৰ্বতে উপস্থিত হন। তথায় সুগ্ৰীব নামক বানর-রাজের সহিত তাহার পরিচয় হয়, সুগ্ৰীব তাহাকে সীতা উদ্ধার করিয়া দিবেন বলিয়া প্ৰতিশ্রুত হওয়ায় রামচন্দ্ৰ বালিকে বধ করিয়া সুগ্ৰীবকে কিস্কিন্ধ্যার সিংহাসনে বসান । অতঃপর হনুমান লঙ্কায় গিয়া সীতার সংবাদ লইয়া আসেন এবং বানরগণেন্ন সহায়তায় রামচন্দ্ৰ সমুদ্র বন্ধন করিয়া লঙ্কায় উপনীত হন। রামচন্দ্রের সৈন্যগণে ও রাবণের সৈন্যগণে বহুদিনব্যাপী তুমুল যুদ্ধ হয়, সেই যুদ্ধে রাবণকে সবংশে নিধন করিয়া রামচন্দ্ৰ সীতা উদ্ধার করেন।