পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SÖeo ংশ-পরিচয় ভ্ৰাতৃত্ব” সম্বন্ধে বক্তৃতা-প্রসঙ্গে সরোজিনী বলেন-“প্রত্যেক লোকেরই জাতিবর্ণ-নির্বিশেষে ভ্রাতার ন্যায় প্রত্যেককে ভালবাসা কৰ্ত্তব্য ।” পচিয়াপ্ল কলেজের ছাত্ৰগণকে সম্বোধন করিয়া সরোজিনী বলেন, “তোমরা উত্তরাধিকারসূত্রে অনেক কৰ্ত্তব্য পাইয়াছ। তোমরা কে ও কি তাহা ভাবিবার প্রয়োজন নাই। এমন কি রাস্তার মুটে মজুরের পৰ্য্যন্ত স্বদেশী কাৰ্য্য ও স্বদেশের চিন্তা করিবার অধিকার আছে। প্ৰত্যেককেই দেশের উন্নতির জন্য আত্মোৎসর্গ করিতে হইবে।” মহাত্মা গান্ধীকে সরোজিনী গৌতম বুদ্ধ, চৈতন্য, রামানুজ বা রামকৃষ্ণের মত অবতারস্বরূপ বলিয়া মনে করেন। মহাত্মা গান্ধী সম্বন্ধে তাহার মত এই যে, আধ্যাত্মিক হিসাবে হয়ত মহাত্মা গান্ধী গৌতম বুদ্ধ প্ৰভৃতি অপেক্ষা একটু নিম্নস্তরে অবস্থিত হইতে পারেন, কিন্তু স্বদেশপ্ৰেম, অকপট সেবা এবং সরলতায় তিনি তঁহাদের তুলনায় কোন অংশেই হীন নহেন। শ্রীমতী সরোজিনী যদিও কবি বলিয়া প্ৰসিদ্ধা, তাহা হইলেণ্ড র্তাহার রাজনীতিক বক্তৃতা-সমূহে কম রাজনীতিজ্ঞতার পরিচয় নাই । র্তাহার বক্তৃতাসমূহু পাঠ করিলে তঁহাকে একজন উচ্চ রাজনীতিবেত্তা বলিয়া প্ৰশংসা না করিয়া পারা যায় না। ১৯১৬ খৃষ্টাব্দে লক্ষ্মেী কংগ্রেসে ভারতে স্বায়ত্ত শাসনের প্রস্তাব অনুমোদন-প্রসঙ্গে শ্ৰীমতী নাইডু বলেন, “আমাদের এখন প্ৰত্যেকের কৰ্ত্তব্য একত্ৰ মিলিত হইয়া মাতৃভূমির উন্নতির জন্য প্ৰাণপণ চেষ্টা করা। মাতৃভূমির জন্য কষ্টভোগ করিলে তাহাতে আনন্দ আছে ; মাতৃভূমির জন্য মরিলে সে জীবন অবিনশ্বর ও অক্ষয় হয় ।” লক্ষ্মেী কংগ্রেসের পর শ্ৰীমতী সরোজিনী নাইডু, ভারতের নানাস্থানে রাজনীতিক বক্তৃতা করিয়া বেড়ান। হিন্দু-মুসলমানের একতা সম্বন্ধে পাটনার একটি সভায় তিনি বলেন, ‘কয়েক শতাব্দী পূর্বে যখন প্রথম