পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S&z- ९--°ब्रिि5ा এখনও বুঝি খাওয়া হয় নাই, এস এস, গরীব ব্ৰাহ্মণের বাট দু'টি খেয়ে সুস্থ হ’য়ে যাবে। বাড়ীতে কোন ক্রিয়া-কৰ্ম্ম উপস্থিত হইলে দরিদ্র-দুঃস্থের মাছের কঁট-কুটি লইবার জন্য আসিত, ভগবতী দেবী কঁাটা-কুটির সঙ্গে কিছু কিছু মাছও প্ৰত্যেককে দিয়া দিতেন। স্বামী ঠাকুরদাস বলিতেন, “ওরূপভাবে গরীব দুঃখীদের মাছ দিলে যে ব্ৰাহ্মণের কম পড়িবে।” উত্তরে ভগবতী দেবী বলিতেন, “মাছ কি কেবল তোমার ব্ৰাহ্মণেরাই খাইবে ? কেন এই দরিদ্র দুঃস্থেরা কি কেউ নয় ?” ঠাকুরদাস শেষ বয়সে কাশীবাসী হইলে ঈশ্বরচন্দ্ৰ মাতা ভগবতী। দেবীকেও পিতার নিকট পাঠাইয়া দেন। ভগবতী দেবী তথায় কিছুকাল থাকিবার পর গ্রামে ফিরিয়া আসেন এবং বলেন, “এতদিনে সত্য সত্য কাশীধামে আসিলাম। যেখানে প্ৰকৃত দীন দরিদ্র হাত পাতিয়া ভিক্ষা লয়, যেখানে নিরান্নকে অন্ন দিবার সুযোগ পাওয়া যায়, সেই তা আমার কাশী । আমার কাশী বীরসিংহ।” বিদ্যাসাগরমহাশয় যখন প্রচুর অর্থ উপাৰ্জন করিতেছিলেন, সেই সময়ে একদিন মাকে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “মা ! তোমার কি কোন গহনা পরিতে সাধ হয় ?” মাতা ভগবতী দেবী বলিলেন, “হঁ বাবা ! আমার তিনখানি গহনা পরিতে সাধ হয়-( ১ ) দেশের ছেলেমেয়েরা মুর্থ হইয়া যাইতেছে, আমার ইচ্ছা তাহদের জন্য একটি অবৈতনিক বিদ্যালয় প্ৰতিষ্ঠিত হয়। (২) দেশের সকল লোকে চিকিৎসার অভাবে মারা যাইতেছে, আমার বড় সাধ তাহদের জন্য একটি দাতব্য চিকিৎসালয় প্ৰতিষ্ঠা হয় (৩) গরীব-দুঃখীর ছেলেদের জন্য একটা অবৈতনিক বিদ্যালয় প্ৰতিষ্ঠিত হয়, আর সেই সঙ্গে তাহদের জন্য একটি অল্পসত্ৰ প্ৰতিষ্ঠিত হয় ইহাও আমার সাধ। বাবা যদি তুমি আমার উপযুক্ত পুত্ৰ হও, তবে মায়ের এই তিনখানি গহনার ব্যবস্থা কর। বলা