পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NOу 8ማ-ጝfቔ5፬ ! অনুরোধ করিয়া গিয়াছেন। আমরা মুনি, আমরা এই সুবর্ণের কণ্ঠভূষণ লইয়া কি করিব?” মুনির এই কথা শুনিয়া তিনি অত্যন্ত শোকান্বিত হইলেন, রাজপুত্রবধু মদালস স্বামীর শোকে প্ৰাণত্যাগ করিলেন। রাণী রাজাকে সান্তুনা দিয়া বলিলেন, “আপনি কেন পুত্ৰশোকে কাতর হইতেছেন ? আমার পুত্ৰ ব্ৰাহ্মণ ও ঋষি-মুনিগণকে রক্ষা করিবার জন্য প্ৰাণত্যাগ করিয়াছে শুনিয়া আমি যে পরিমাণ আনন্দ লাভ করিয়াছি, অন্য কোন কিছুতে আমি সেরূপ আনন্দ লাভ করিতে পারিতাম না।” এইভাবে সেই দানব রাজ-পরিবারস্থ সকলকে শোকে অভিভূত করিয়া কুবলয়শ্বের নিকট ফিরিয়া আসিল। কুবলয়াশ্ব তাহার আশ্রমের ভার তাহাকে পুনরায় প্ৰদান করিয়া রাজধানীতে ফিরিয়া আসিলেন। তঁহাকে দেখিয়া পিতামাতার আর আনন্দের সীমা রহিল না । মদালস জনৈক নাগরাজের চেষ্টায় পুনজীবন লাভ করিলেন, মদালসাকে পাইয়া ঋতধ্বজের আনন্দের আর সীমা থাকিল না। কালক্রমে রাজা শক্রিজিৎ স্বৰ্গারোহণ করিলেন এবং প্ৰজাবৃন্দ কুবলয়াশ্বকে রাজপদে প্ৰতিষ্ঠিত করিল। কুবলয়াশ্ব অপত্যনির্বিশেষে প্ৰজা-পালন করিয়া সকলের শ্ৰীতিভাজন হইলেন। মদালসার গর্ভে রাজা ঋতধ্বজের এক পুত্ৰ জন্মগ্রহণ করিল, তিনি সেই পুত্রের নাম রাখিলেন ‘বিক্রান্ত । বিক্ৰান্তকে মদালস। সর্বদ। তত্ত্বজ্ঞান শিক্ষা দিয়া বলিতেন, “‘বাবা । এ সংসারে তুমি আমি বলিয়া কিছুই নাই। এই যে দেহের তুমি এত ৰত্নাই করিতেছি, এই দেহ তোমার নাই। পিতা, মাতা, ভ্রাতা, ভগিনী কেহই সংসারে আপনার নাহে কিংবা এই ভোগ-বিলাস-প্ৰবল সুখও সুখ নহে । সকলের সারা যে ভগবান, সেই ভগবানে মনপ্ৰাণ নিবদ্ধ 夺甜目 রাণী মদালসা এই প্রকারে পুত্রকে তত্ত্বজ্ঞান শিখাইতেন। কালক্রমে তাহার গর্ভে সুবাহু ও শক্রমর্দন নামে আরও দুইটি সন্তান জন্মগ্রহণ