পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহুলা বেহুল বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তৰ্গত নিছনি গ্রামের সায়বেণে নামক বণিকের কন্যা। বেহুলার বাল্যকাল সাধারণ বালিকাদেরই ন্যায় অতিবাহিত হয়, তাহাতে কোন বৈচিত্ৰ্য ছিল না। ক্ৰমে বেহুলা বিবাহবয়সে উপনীত হইলে বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তৰ্গত চম্পক ( সাধারণতঃ চাম্পাইনগর) নামে প্ৰসিদ্ধ গ্রামের চাঁদ সদাগরের সাত পুত্রের মধ্যে সৰ্বকনিষ্ঠ লখিন্দরের সহিত র্তাহার বিবাহ-সম্বন্ধ হয়। • চাদ সদাগর একজন সুপ্ৰসিদ্ধ বণিক ছিলেন ; ধনে, মানে, কুলে, শীলে গন্ধবণিকগণের মধ্যে সে সময়ে তাহার ন্যায় প্ৰতিপত্তিশালী লোক অতি কম ছিল । তিনি পরম শৈব ছিলেন। কিন্তু তিনি মনসাকে অত্যন্ত ঘূণা করিতেন । তিনি ভ্ৰমেও কখনও মনসার নাম করিতেন না, অবজ্ঞা করিয়া মনসা-দেবীকে “চ্যাংমুড়ী কাণী” ইত্যাদি বলিতেন। র্তাহার প্রভাবে অন্য কেহই মনসার পূজা করিত না। এদিকে চাঁদের পত্নী সনক সৰ্পাধিষ্ঠাত্রী মনসাদেবীকে বড়ই শ্রদ্ধা-ভক্তি করিতেন, স্বামীকে লুকাইয়া তিনি মনসার পূজা করিতেন। মনসা-দেবী চাঁদ সদাগরের ঈদৃশ বৈরভাব-দর্শনে প্ৰতিশোধ লইতে ক্ষান্ত ছিলেন না । তিনি একে একে চাদ সদাগরের ছয়খানি বোঝাই নৌকা নদীতে ডুবাইয়া দিয়াছিলেন। চাঁদের ছয়টি পুত্রকে সৰ্প দ্বারা দংশন করাইয়া যমালয়ে পাঠাইয়াছিলেন, কিন্তু তথাচ চাদ মনসার প্রতি খড়গহস্ত ছিলেন । লখিন্দরের বিবাহ বেহুলার সহিত স্থির হইলে মনসা-দেবী বেহুলাকে ছলনা করিবার জন্য বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণীর বেশে সায়বেণের