পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মণ্ডন-পত্নী ভারতী শিবাবতার শঙ্করাচাৰ্য্যের সময়কার কথা । “ভগবান এক ভিন্ন দুই নহেন"-এই অদ্বৈত ও বেদান্তবাদের। প্ৰবৰ্ত্তক শ্ৰীশ্ৰীশঙ্করাচাৰ্য্য আপন ত-প্ৰতিষ্ঠার জন্য শিষ্যগণ-সমভিব্যাহার ভারতের এক প্ৰান্ত হইতে অপর প্রান্ত পৰ্য্যন্ত দিগ্বিজয় করিয়া বেড়াইতেছিলেন । যে কেহ তাহার সহিত তৰ্কযুদ্ধ করিতে প্ৰবৃত্ত হইতেছিল, সেই-ই তাঙ্কার নিকট পরাজয় স্বীকার করিতেছিল। শঙ্করাচাৰ্য্য। এইভাবে স্বমত প্রচার করিতে করিতে মণ্ডন মিশ্রেীর আলয়ে উপস্থিত হন । উভয়ে তর্কযুদ্ধে প্ৰবৃত্ত হইতে উদ্যোগী হন, কিন্তু মধ্যস্থার অভাবে তাহদের বিচার সভা বসিতে পারে না। এমন সময় মণ্ডন-পত্নী উভয়ভারতীর বিদ্যাবত্তার পরিচয় পাইয়া মণ্ডন ও শঙ্করাচাৰ্য্য উভয়েই তাহাকে মধ্যস্থা নির্বাচিত করেন। একদিন নয়, দুই দিন নয়, দীর্ঘ অষ্টাদশ দিবস ব্যাপিয়া উভয়ে এই তুমুল তর্ক চলিতে লাগিল, ভারতী মনোযোগসহকারে উভয়ের তর্ক-বিতর্ক শুনিতে লাগিলেন এবং পরিশেনে শঙ্করকে জয়ী হইতে দেখিয়া সেই জয়মাল্য শঙ্করের গলায় পরাইয়া দিলেন। স্বামীর পরাজয়ে উভয়ভারতী নিরতিশয় ব্যথিত। স্নইলে ও বিচারে কোন প্ৰকার পক্ষপাতিত্ব প্ৰদৰ্শন করিলেন না । প্ৰাচীনযুগের মহিলাগণ এমনই বিদূষী, বিচাৱনিপুণ ও পক্ষপাতশূন্য ছিলেন। মণ্ডনকে পরাজয় করিয়া শঙ্কর বিজয়োল্লাসে প্ৰমত্ত হইয়া চলিয়া যাইবার উপক্ৰম করিতেছিলেন, এমন সময় ভারতী তাহাকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “ঠাকুর । আমার স্বামীকে পরাভূত করিয়াছ বলিয়াই