পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খুল্লনা yr y c*ांकनtश going मन, ०८ (c আঁখিজল নিবারিতে নারি । এ শোক রহিল মনে, স্বামী দিব আনজনে সঞ্চয় করিয়া ঘর গারী । বহু ব্যয় করি। কড়ি, করিলাম খাটি পিড়ি সগাল্লাদ নিহালী পামারী। চন্দন কুসুম গুয়া, কুকুম কিন্তুরী চুয়া, কারে দিব মন্দির মশারি । ধনপতি খুল্লনাকে বিবাহ করিয়া তাহাকে ঘরে লইয়া আসিলেন। নানা প্ৰকার সোণার চুড়ী ও পাটের শাড়ী পাইয়া লহনা আপাততঃ সপত্নী-বিদ্বেষ এবং স্বামীর উপর ক্ৰোধ বিস্মৃত হইল। তবে স্বামীকে আপন পক্ষে বশ করিবার জন্য বশীকরণের অনেক প্ৰক্ৰিয়া করিতে ছাড়িল না । ধনপতি রাজবণিক ছিলেন । বিবাহের কয়েকদিন পরে রাজা বিক্রমকেশরী ধনপতিকে আহবান করিয়া একটি সুবর্ণপিঞ্জর তৈয়ারী করিবার জন্য গৌড় দেশে যাইবার আদেশ করিলেন । ধনপতি লহনার উপর বালিকা খুল্লনার ভার ন্যস্ত করিয়া চিন্তান্বিতমনে গৌড় দেশে যাত্ৰা করিলেন । লাহন স্বামীর আজানুসারে খুল্লনাকে আপন কনিষ্ঠ ভগ্নীর ন্যায় সমাদর করিতে লাগিলেন। খুল্লনাকে খাওয়াইয়া তবে তিনি নিজে খাইতেন। সপত্নীর প্রতি এতাদৃশ স্নেহ, যত্ন ও ভালবাসা দাসী দুর্বলার প্রাণে কিন্তু গরাল বর্ষণ করিত। দুর্বল মনে ভাবিল, এই দুই সপত্নীতে যদি মিলমিশ থাকে, তাহা হইলে দুইজনের হুকুম পালন করিতে তাহার প্রাণান্ত হইবে, তদপেক্ষা কোন উপায়ে যদি উভয়ের মধ্যে একটা বিচ্ছেদ জন্মান যায়, তাহা হইলে আর খুল্লনার পরিচর্য্যা তাহাকে করিতে হইবে না। এই ভাবিয়া সে একদিন