পাতা:বংশ-পরিচয় (নবম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८अबूबयों ভারতীয় হিন্দুরমণীগণের ন্যায় মুসলমান রমণীগণও যে বিদ্যা, বুদ্ধি, প্ৰতিভা ও বীরত্বে কম ছিলেন, এমন নহে। ভারতের ন্যায় বিরাট সাম্রাজ্যও মুসলমান নারীর অঙ্গুলি-হেলনে পরিচালিত হইয়াছে ভারতের ইতিহাসে এরূপ দৃষ্টান্ত বিরল নহে। আবার মহারাষ্ট্র-বীরের বীরত্ব-দর্শনে মুগ্ধা মুসলমান মহিলা অকপটে পিতৃহুঙ্কার অগ্ৰাহা করিয়া বীরের চরণে শ্রদ্ধা-ভক্তি জ্ঞাপন করিয়াছেন, এ দৃষ্টান্তও আমরা জেবুন্নেষার চরিত্র আলোচনা করিলে জানিতে পারি। কেমন করিয়া জেবুন্নেষ, বীরত্বের সম্মান করিয়াছিলেন, তাহাই সবিস্তারে বলিতেছি। দিল্লীর সিংহাসনে ভারতের হিন্দুশক্তিকে উপহাস করিয়া যখন সম্রাটু ঔরঙ্গজেব সমাসীন, সেই সময় মহারাষ্ট্রে শিবাজী অত্যন্ত ক্ষমতাশালী হইয়া উঠেন। মোগল শত্রুর সহিত অনেক সঙ্কটাপন্ন যুদ্ধ করিবার পর শিবাজী অবশেষে মোগলের সহিত সন্ধি করেন । সন্ধির সৰ্জানুসারে শিবাজী মোগলের নিকট হইতে যে যে দুর্গ জয় করিয়া ছিলেন তাহা তাহাদিগকে ফিরাইয়া দিলেন, কেবলমাত্র ঔরঙ্গজেবের অধীনে জায়গীরদার-স্বরূপ দ্বাদশটি দুর্গ তাহার অধীন রহিল । অতঃপর রাজা জয়সিংহের অনুরোধে সম্রাটের সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য শিবাজী দিল্লীতে উপস্থিত হইলেন। সে ১৬৬৬ খ্ৰীষ্টাব্দের কথা । ঐ সনের বসন্তকালে মাত্ৰ পঞ্চশত অশ্বারোহী ও এক সহস্ৰ পদাতিক সৈন্য লইয়া শিবাজী দিল্লীতে উপস্থিত হইলেন । কিন্তু ঔরঙ্গজেব দরবারে শিবাজীকে পঞ্চ সহস্ৰ সেনার সেনাপতিদিগের মধ্যে বসিতে আদেশ করিয়া তাহাকে যৎপরোনাস্তি অবমাননা করিলেন । দরবারে