পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ংশ পরিচয় জন্য দক্ষিণ দেশে লইয়া গিয়াছিলেন । সাহাজী অতিশয়, সমদৰ্শী ছিলেন তাহার নিকট কোন পক্ষপাতিত্ব কি স্বার্থপরতা ছিলনা। এই কারণেই তঁাহার পরিবারস্থ সকলের মনেই শান্তি ছিল । সংসারে আর কোন প্ৰকার কষ্ট নাই, কষ্টের মধ্যে কেবল ভ্ৰাতা গোকুলচন্দ্ৰ ও যাত্রাবরের কোন সন্তান সন্ততি জন্মিল না ; ভ্ৰাতৃদ্বয়ের এই কষ্ট্রের জন্য সাহাজী মহাশয় সময় সময় অনুতাপ ভোগ করিতেন । সাহাজী মহাশয় বাড়ীতে ও যেখানে যথা সম্ভব সৎকাৰ্য্যের অনুষ্ঠানে ব্ৰতী ছিলেন, যথা সাধ্য অতিথি সেবা, দরিদ্রকে যথাযোগ্য দান, বিপন্ন জনের উপকার, দেব দ্বিজে ভক্তি-ইহাই তাহার জীবনের একটা প্ৰধান লক্ষ্য ছিল । কোন উপলক্ষে বিবিধ প্ৰকার খাদ্যদ্রব্য সংগ্ৰহ করিয়া অকাতরে লোকজনকে খাওয়াইয়াছেন, উভয় স্থানে রামায়ণ, মহাভারত, শ্ৰীমদ্ভাগবত পাঠ করাইয়া মহোৎসব করিয়াছেন, সাধ্যানুসারে এসকল কাৰ্য্যে তঁাহার কোন ক্ৰটি নাই। সাহাজী মহাশয় বয়োধিকতা হেতু ঘরে বসিয়া বসিয়াই কাজ কৰ্ম্ম দেখিতেন এবং গুরুদেক প্রদত্ত ইষ্ট মন্ত্র জপ করিয়া কালান্তিপাত করিতেন । এই সময় তথাকার সমুদয় কারবার ভাই, ভ্রাতুষ্পপুত্রদিগের তত্ত্বাবধানে রাখিয়াদেশে আসিলেন। এই ভাবে কিছুদিন কাটিয়া গেল, একদিন রাত্রি তৃতীয় প্রহরে চিন্তা করিতে করিতে নিদ্রাভিভূত হইয়া পড়িলেন। এবং ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে দেখিলেন যে “ব্যাস্ত্ৰ চৰ্ম্ম পরিধান, মাথায় দীর্ঘ জটা, শরীরে ভষ্মমাখা, হাতে ত্ৰিশূল মহুতেজঃপুঞ্জশালী এক ব্যক্তি র্তাহার শিয়রে বসিয়া বলিতেছেন-উদ্ধব ! তোমার বাসনা পূর্ণ হয় নাই কি ? আর কতদিন এইভাবে থাকিবে, সময় অতি নিকট, তুমি প্ৰস্তুত হও ” পরদিন প্ৰাতে সাহাজী বিশেষ যত্নের সহিত, সৰ্ব্ব প্ৰকার কাজ কৰ্ম্মের বিধি বিধান করিতে আরম্ভ করিলেন ।