পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংশ পরিচয় । وه বৈষ্ণব ভোজন, দরিদ্রে দান ইত্যাদি নিত্য চলিতে লাগিল এবং আত্মীয় বন্ধু বান্ধব প্ৰভৃতিকে সংবাদ দিয়া আনিয়া তাহদের নিকট চির বিদায় গ্ৰহণ করিতে লাগিলেন । সাহাজী মহাশয়ের এবস্তপ্রকার “চির বিদায়” সংবাদ অল্প সময় মধ্যেই সর্বত্র প্রচারিত হইয়া পড়িলে নানা স্থানের বহু লোক নিত্য নিত্য র্তাহাকে দেখিবার জন্য আসিতে লাগিল। সাহাজী মহাশয় চির অভ্যাসগুণে ইহাতে কোনরূপ বিরক্ত না হইয়া সকলের সঙ্গে আলাপ আপ্যায়িত করিয়া বিদায় গ্ৰহণ করিতে লাগিলেন । সাহাজী মহাশয় হঠাৎ একদিন ভ্ৰাতা ও পুত্ৰদিগকে ও কৰ্ম্মচারীবৰ্গকে ডাকাইয়া বলিতে লাগিলেন, “আমি সামান্য একটী মুদি দোকান হইতে অধ্যবসায়গুণে ভগবান কৃপায় এই ধন সম্পত্তি অর্জন করিয়াছি, তোমরা রক্ষা করিতে পারিলে বংশ পরম্পরায় ইহা দ্বারা সুখে স্বচ্ছন্দে প্ৰতিপালিত হইতে পরিবে । সর্বদ ঈশ্বরকে স্মরণ রাখিয়া আমার পথ অনুসরণ করিতে চেষ্টা করিও । স্বার্থপরবশ হইয়া কেহ কখনও বঞ্চনার কাৰ্য্য করিও না ; স্বর্থপরতা, হিংসা, দ্বেষ, অলসতা, অভিমান প্ৰভৃতি যাহাতে তোমাদের মধ্যে প্ৰবেশ করিতে না পারে তৎপ্ৰতি সৰ্ব্বদা সতর্ক থাকিবে । সকলের সমবেত চেষ্টাই ংসারে উন্নতির একমাত্ৰ উপায় । এই সকল অভাব হইলে ক্রমে কলহ বিবাদ সৃষ্টি হইয়া তোমাদিগকে বিচ্ছিন্ন করিয়া দিবে, অতএব তোমরা সকলেই তৎপ্ৰতি বিশেষ লক্ষ্য রাখিয়া সাবধান হইবে । মা কমলার প্রকৃতি চঞ্চল ; বিশেষ, কলহ বিবাদ হিংসা দেখিলে তিনি অচিরেই সেস্থান ত্যাগ করিয়া চলিয়া যান। যাহাতে সকলে একবুদ্ধি, একপ্ৰাণ হইয়া বিষয় সম্পত্তির উন্নতিসাধন করিতে পার, একান্ত মনোযোগী হইয়া সেইরূপ কাৰ্য্য করিবে। প্ৰজানিৰ্বিশেষে পরিবারস্থ সকলের প্রতি সমদৰ্শী হইয়া নিঃস্বাৰ্থভাবে কাৰ্য্য করিও ।