পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

秒$ ংশ পরিচয় । উগ্ৰ প্ৰকৃতির লোক ছিলেন। ভ্ৰাতৃদ্বয় তৎকালোচিত লেখাপড়া যথাসম্ভব শিক্ষা করেন। শিক্ষা বিধানে ভ্রাতৃদ্বয়ের বাল্যকাল অতিৰাহিত হইয়াছে ; এখন দুই ভাই বয়োপ্ৰাপ্ত হইয়াছেন । নীলকণ্ঠ বাল্যকাল হইতেই অতি নিভীক, আলস্য হীন, উদ্যমপুণৰ ছিলেন । কোন কাজ করিব বলিয়া সঙ্কল্প করিয়া তাহা না করিয়া ক্ষান্ত থাকেন নাই। তঁহার হাবভাব সন্দর্শনে অনেক জ্ঞানী লোকে তখন বলিয়াছেন যে এই ছেলে। বঁচিয়া থাকিলে ইহা দ্বারা “সাহাজীর” বংশের নাম পুনঃ উজ্জল হইবে। বহু সরিকের স্থলে বিষয় সম্পত্তির যে দশা ঘটিয়া থাকে, এস্থলে সেইরূপ দশা ঘটিয়াছে, সুতরাং সেই সঙ্গে সঙ্গে সরিকদিগের মধ্যে "অনেকের অবস্থাই খারাপ হইয়া পড়িয়াছে; তবে নিতান্ত সৌভাগ্য বলিয়া রামজয় রায় মহাশয়ের অবস্থা তেমন খারাপ নয়, তিনি এ পৰ্যন্ত সকল দিক বজায় রাখিয়া চালাইয়া আসিয়াছেন । এ বৎসর নীলকণ্ঠ রায় চৌধুরী মহাশয় প্রথম বরিশাল জেলায় র্তাহাদের জমিদারী এলাকা পরিদর্শন করিতে যাইবেন, পূর্বেই এই ংবাদ তথাকার সদর কাছারীর প্রধান কৰ্ম্মচারীর নিকট জ্ঞাপন করা হইয়াছে, কৰ্ম্মচারিগণ র্তাহার আগমন উপলক্ষে যথাযোগ্য ভাবে অভ্যর্থনার জন্য প্ৰস্তুত হইলে নির্দিষ্ট সময় তথায় পৌঁছিয়া শুভক্ষণে কাছারীতে শুভাগমন করিলেন। নীলকণ্ঠ বাবুর প্রতাপ, আমলা কৰ্ম্মচারিগণ পূর্বেই অবগত ছিলেন, আজ তঁহাকে সাক্ষাৎ দেখিয়া সেই সকল কথা প্ৰত্যেকের মনেই জাগিতে লাগিল । তিনি সদর কাছারীতে থাকিয়া অন্যান্য সকল কাছারীর কৰ্ম্মচারিগণকে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করার জন্য আদেশ করিলেন। সংবাদ পাইয়া কৰ্ম্মচরি গণ যথাসময়ে তথায় আসিয়া উপযুক্তভাবে দেখা করিতে লাগিলেন।