পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yQA» বংশ পরিচয় । নীলকণ্ঠ বাবু বাড়ী ফিরিলেন, তাহাতে আমলাগণের যেন ঘাম দিয়া। 西可更ff等研1 নীলকণ্ঠ বাবু প্ৰথমে ও দেশে নিজের এলাকা পরিদর্শন করিতে গিয়াছিলেন, নজর বাজে জমা ইত্যাদিতে যে টাকা সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন ৰাড়ীতে পৌছিয়া তাহ পিতা মাতার নিকট দিলেন । উদ্ধাব চন্দ্রের মৃত্যুর পর হইতে একাল পৰ্য্যন্ত কেহই এরূপ দক্ষতার সহিত প্ৰজার নিকট হইতে বাজে জমা করিয়া টাকা আনিতে পারেন নাই । আজ পুত্রের দ্বারা এইরূপ অভাবনীয় ব্যাপার জানিতে পারিয়া রামজর রায় মহাশয় বিপুল আনন্দ অনুভব করিয়া ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে লাগিলেন । নীলকণ্ঠ বাবু কিছু দিন বাড়ীতে থাকিয়া পুনরায় কাছারীতে হঠাৎ যাইয়া পৌছিলেন । কৰ্ম্মচারিগণ র্তাহার এরূপ আগমন বার্তা শ্রবণে আশঙ্কিত হইলেন। যথা সময় কাছারীতে গিয়া উঠিলেন । পথশ্রান্ত হেতু কয়েকদিন বিশ্রাম করিয়া একদিন তথাকার প্রধান কৰ্ম্মচারীকে ডাকাইয়া নানা কথা আলাপ করিয়া পরে বলিলেন, মালোক কাছারীতে উপস্থিত থাকিলে প্রজাবর্গের বিচারাদি যাহা কিছু দরবার হইবে সমস্তই তাহার সাক্ষাতে হওয়া উচিত । আপনারা এখন হইতে সেই ভাবে কাৰ্য্য করিবেন । আমার অজ্ঞাতে প্ৰজার বিচারাদি কি কোন বন্দোবস্ত করিবেন না । যাহা কিছু কাজ কৰ্ম্ম আমাকে জানাইয়া করিবেন । তিনি কৰ্ম্মচারিগণের প্রতি প্ৰথম আদেশ জ্ঞাপন করিলেন । কৰ্ম্মচারিগণ বিবেচনা করিয়াছিলেন “ছেলে মানুষ আমাদের সাহায্য ব্যতিত কোন কাজ করিতে পরিবেন না।” কিন্তু কয়েক দিন মধ্যেই ভঁহাদের ভ্রম দূর হইল। নীলকণ্ঠ বাবু প্ৰজাদিগের যতপ্রকার আবেদন নিবেদন তাহা নিজে শুনিয়া বিচার মীমাংসা করিতে আরম্ভ করিলেন । বিচার বন্দোবস্ত প্ৰভৃতি কাৰ্য্য পদ্ধতি এবং দক্ষতা সনদর্শনে কৰ্ম্মচারিরা সকলেই স্তম্ভিত হইলেন । নীলকণ্ঠ বাবু এমন তেজের ।