পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌদ্দ রশীীর জমিদার বংশ । IS ষে কারণে সংসারের ভাই ভাই পৃথকায় হইতে হয়, ইহাদের, ংসারে সে ব্যাধির সৃষ্টি হইয়াছে। বৈকুণ্ঠরাম যে প্ৰকৃতির লোক, ছিলেন, ভাগ্যগুণে র্তাহার সহধৰ্ম্মিণী জয়কিশোরী চৌধুরাণীও সেই প্ৰকৃতির লোক ছিলেন। নীলকণ্ঠ বাবুর সহধৰ্ম্মিণী আনন্দময়ী চৌধুৰ রাণীর প্রকৃতি স্বামীর সহিত অনেকাংশে সাদৃশ্য ছিল, সংসার বিছিন্নকারী ম্যালেরিয়া নীলকণ্ঠ বাবুর প্রতাপে বিস্তারিত হইতে না পারিয়া একরূপ লুপ্ত ছিল । গৃহ বিচ্ছেদের কারণ সময়ে নীলকণ্ঠ বাবুর কৰ্ণ গোচর হইত ; কিন্তু তাহাতে তিনি কোনরূপ সহানুভূতি প্ৰদান করিতেন না। স্ত্রীলোকের উত্তেজনায় বিব্রত হইয়া ভাই ভাই ভাগ ভিন্ন হওয়া তৎকালের পুরুষের । পক্ষে একটা লজ্জাকর বিষয় ছিল, বিশেষতঃ এইপ্ৰকার কাৰ্য্যকে নীলকণ্ঠ বাবু বড়ই ঘূণা করিতেন। বৈকুণ্ঠ বাবু সৰ্ব্বদা বাড়ী থাকিয়া পারিবারিক অশান্তি দূর হওয়ার কোনই উপায় ঠিক করিতে না পারিয়া সময়ে ধৈৰ্য্য চুত্যুত হইয়া পড়িতেন। সময়ে সময়ে নীলকণ্ঠ বাবুকে বলিতেন, “ভাই ! পারিবারিক কলহে সময়ে তোমাকে বিশেষ অশান্ত ভোগ করিতে হয়। যখন স্ত্রীলোকদিগের পৃথকান্ন হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ক্ৰমশঃ প্ৰবল হইতেছে তখন যতদিনে হউক ইহা কাৰ্য্যে পরিণত হইবে । অতএব যাহাতে, এই অশান্তি দূর হয় তৎপ্ৰতি লক্ষ্য করাই কৰ্ত্তব্য স্থির করা উচিত। ইহার উত্তরে নীলকণ্ঠ বাবু বলিয়াছেন। ‘দাদা ? আমি স্ত্রীলোকের কথায় বাধ্য হইয়া পৃথকান্না করিয়া দিব একথা কখনও • মনে স্থান দিবেন না । একান্নে থাকিতে যদি কাহার তেমন অসুবিধা বোধ হয়, তবে তিনি পৃথক ভাবে খাইতে পারেন, আমি যতদিন বেঁচে আছি ততদিন কিছুই ভাগ বণ্টন করিব না।” বৈকুণ্ঠ বাবু। কনিষ্ঠের এতাদৃশ ভক্তি ও মমতাপুর্ণ বাক্য শ্রবণে সকল কষ্ট ভুলিয়ঃ যাইতেন । , , \