পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌদ্দর শীর জমিদার বংশ ব্যান্ত্রি পিঞ্জরে আবদ্ধ হইলে তাহার স্বভাব ভুলিয়া কখনও সাম্যভাৰ ধারণ করে না। পরিত্রাণের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করে, কিন্তু সে চেষ্টা বিফল মাত্র। নীলকণ্ঠ বাবু উপযুক্তরূপে মোকদ্দমার তদ্বির করিলেন। ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবের নিকট কোন ফল ফলিল না। সাহেব সাক্ষীর জবানবন্দী গ্ৰহণ পূর্বক নীলকণ্ঠের ৩ মাসের কঠিন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্ৰদান করিলেন । নীলকণ্ঠ নিতান্ত নিরূপায় হইয়া জেলে যাইতে বাধ্য হইলেন । তদপর অবিলম্বে কাগজপত্রের নকল লইয়। ঢাকায় আপীল দায়ের করা হইল । ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব বাহাদুর নীলকণ্ঠের প্রতি এই কঠোর আদেশ প্ৰদান করিয়া নিজ পরিণাম চিন্তা করিতে লাগিলেন। এই পিঞ্জাৱাৰন্ধ ব্যাস্ত্ৰ মুক্ত হইলে প্ৰতিহিংসা সাধন করিবে একথা সুনিশ্চিত। তখন আমার পক্ষে আত্মরক্ষা করা অসম্ভব। অতএব সত্বর বদলী হইয়া স্থানান্তরে যাওয়া ব্যতীত অন্য আর কোন উপায় নাই। সাহেব এই সব আলোচনা করিয়া তদপর দিবস বদলীর প্রার্থনায় উৰ্দ্ধতন কৰ্ম্মচারীর নিকট আবেদন করিলেন। সাহেব বুঝিলেন, আপীলে নীলকণ্ঠ বাৰু খালাস পাইবে । তবে যে কয়দিন জেলে আছেন, তাহতে এমন করিয়া দেওয়া চাই যেন বাকী জীবনে তাহা স্মরণ থাকে। তদপর দিবস পাকা সড়কের সুরকী দুরমুলা করিতে নীলকণ্ঠ বাবুকে সাহেব আদেশ দিলেন। সেই কাজে নীলকণ্ঠ বাবু নিযুক্ত হইলেন। জেলের কৰ্ম্মচারিগণ সকলেই নীলকণ্ঠ বাবুকে জানেন, সুতরাং র্তাহারা সকলে যথাসাধ্য তঁাহার সম্মান রক্ষার জন্য যত্ন করিতে লাগিলেন। জেলের কৰ্ম্মচারিগণ যে নীলকণ্ঠ বাবুর বাধ্য হইবে ইহা সাহেব বুঝিতে পারিয়া নিজেই নীলকণ্ঠ বাবুর। কাৰ্য পরিদর্শন করিতে शाहे८ङन् । দিবা দ্বিপ্রহরে সুৰ্য্যদেবের প্রখর তাপে ধারণীবক্ষ উত্তপ্ত হইয়াছে,