চৌদর শীর জমিদার বংশ । ( রাজেন্দবাবু ৩২ বৎসর বয়সে চক্ষুব্রত্ন হারাইয়া তদাবস্থায় প্রাক্স ১৮১৯ বৎসর কাল দেশে বিদেশে বিষয় সম্বন্ধীয় যাবতীয় কাজ কৰ্ম্ম অতি সুশৃঙ্খলার সহিত চালাইয়া ষ্টেটের সর্বপ্রকার উন্নতি সাধন করিয়া গায়াছেন । তিনি বিশেষ দৈবশক্তিসম্পন্ন লোক ছিলেন, তাহার অনুমাত্ৰ সন্দেহ নাই । বাড়ীতে মধ্যম হিস্যার ১ম দেওয়ান গুরু চরণ রায়ের অভাবে রাধানাথ ঘোষ দেওয়ানজী মহাশয় অনেকদিন যশোর সহিত কাজ করিয়াছেন, অতঃপর অনেকেই আসিয়া কাজ করিয়াছেন ; কিন্তু কেহ ঈ দীর্ঘকাল স্থায়ী হইতে পারেন নাই । দেওয়ান পদে উপযুক্ত লোক থাকা স্বত্ত্বেও রাজেন্দ্র বাবু তাহদের উপর নির্ভর করিয়া পাকেন নাই, নিজেই সবিশেষ অবগত হইয়া অবস্থা নিৰ্ব্বিশেষে, সমস্ত কাৰ্য্য করিয়াছেন। রাজেন্দ্র বাবু বুদ্ধিবলে বিষয় সম্বন্ধীয় কাৰ্য্যে *{{সপ্তান অধিকার কারিয়াছিলেন এবং অসাধারণ বিষয় বুদ্ধি বলে। তাহার হাতে পরিচালনার জন্য ন্যস্ত সম্পত্ত্বির বৃদ্ধি করিয়া গিয়াছেন । “চাচার অভিজ্ঞতা কাৰ্য্য প্ৰণালী বিষয়ী লোকদিগের পক্ষে বিশেষ আদর্শ স্বৰূপ, দেওয়ান হইতে নিম্নে চাকর চাকরাণী পৰ্য্যন্ত কাহাকেও তিনি সম্পূর্ণ বিশ্বাস করিয়া স্বীয় কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্যে বিরত হইতেন না ; সকলের কাজের প্রতি তঁহার তীব্ৰ কটাক্ষ সর্বদাই পরিচালিত হইতে । তাহার সেই কৌশল-জাল ভেদ করিয়া কেহই নিজ স্বাৰ্থ সিদ্ধি মা কুপাপে যাইতে সাহসী হইত না। অনেক আই, এ, বি, এ, পাশ সুদক্ষ দেওয়ান থাকিতেন বটে, তঁাহারাও অনেক সময় রাজেন্দ্ৰ বাৰ্ব্বস্তু, কাৰ্য্য কৌশল দেখিয়া অবাক হইয়াছেন । রাজেন্দ্ৰবাব সেকালের. পাঠশালায় গুরু মহাশয়ের ছাত্ৰ, কিন্তু তিনি স্বীয় যত্ন বলে অধ্যবসা{ গুণে বাঙ্গলা ভাষায় বিশেষ অধিকার লাভ করিয়াছিলেন ; তাহার" আলাপ ও চিঠি পত্রের মুসবিদ শুনিলে তিনি যে কি পরিমাণ বিদ্বান তাহা কেহ বুঝিতে পারেন নাই। তঁহার অদ্ভুত স্মরণ শক্তি ছিল । مسیح معمہ ካ
