পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$' বংশ পরিচয় । মহিম বাবু এই সংবাদে বড়ই চিন্তান্বিত হইয়া জামাতাসহ কন্যা মুম্বুরী সুন্দরীকে বাড়ীতে আনাঈয়া কিঞ্চিৎ নিশ্চিন্ত হইলেন। মুধুরী সুন্দরী মহিম বাবুর এক মাত্ৰ কন্যা, আত্রাবস্থায় স্থানান্তরে রাখাও কাহার মত •াই । ভবিষ্যৎ চিন্তা করিয়া মহিম ব্যাধু সময়ে বলিয়াছিলেন, “সুবিধামত যে কোন স্থানে তোমাদের একটা বাড়ী থাকা আবশ্যক, নচেৎ পরে কোন অসুবিধা হইবে।” মুঙ্গুরী সুন্দরীর কোন সন্তান না হওয়ায় মহিম বাব বড়ই মনকষ্টে কাল যাপন করেন । জামাতা মেঘনাদ বাবুও সেই কারণ বেশ বুঝিয়া সুজিয়া শ্বশুরের মতে সম্মতি প্ৰদান করিলেন এই যে, ভগবান আমাদের ভাগ্য দোষে যখন নিঃসন্তান করিয়াছেন, আমাদের কোন তীর্থ স্থানে থাকাই সঙ্গত মনে করি । তদনুসারে মহিম বাবু ৬/নবদ্বীপধামে একখানা বাড়ী প্ৰস্তুত করিতে আদেশ করিলেন । স্থান নির্দেশ হইয়া ৬৮ নবদ্বীপ ধামে পোড়ামা তল। • তিন বাড়ীতে দালান ঘর প্রস্তুত আরম্ভ হইল । ইতিমধ্যে মহিম বাবু অধিকাংশ সময় নানা কারণে কলিকাতা সহরেই থাকেন । সেখানে থাকাকালে অন্যের গাড়ী ঘোড়া নোংরা বলিয়া নিজের গাড়ী ঘোড়ার বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন । ঐ রূপ সৌখিন গাড়ী ঘোড়াঅদ্যাপিও কলিকাতা সহরে বিরল দৃষ্ট হয়। হঠাৎ মহিম বাবুপ স্বাস্থ্য ভঙ্গ হইয়া পড়িল ৷ এদিকে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে স্বভাবতঃ দৈহিক শক্তি ক্ৰমে হ্রাস হইয়া আসিতেছে । রীতিমত ঔষধাদি সেবনেও বিশেষ কোন ফল হয় না, কিছু দিনের মত ব্যাধি স্থগিত থাকে। মাত্ৰ । তখন মহিম বাবুর মাতা জয় কিশোরী চৌধুরাণী জীবিত আছেন । মায়ের অসুখ সংবাদ শুনিয়া মহিম বাবু কলিকাতা হইতে বাড়ী আসিলেন। মাতা জয়কিশোরী চৌধুরাণীর চিকিৎসা করার বিশেষ বন্দোবস্ত করিলেন ; ফলে তিনি আরোগ্য লাভ করিলেন । কিন্তু মহিম বাবুর স্বাস্থ্য ভঙ্গ হওয়ায় তিনি দুর্বল হইয়া পড়িতেছেন, তখন