পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রায় বাহাদুর পঞ্চানন মজুমদার مرگ8 لا তাহার বিদ্যাশিক্ষা বিষয়ে যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছিলেন । পঞ্চানন প্ৰথমে নিজ গ্ৰামস্থিত গুরুমহাশয়ের পাঠশালায় অধ্যয়ন করিতে আরম্ভ করেন । তৎপর পাটুলী মাইনর স্কুলে ( এক্ষণে উক্ত স্কুল উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালয়ে পরিণত হইয়াছে ) পড়াশুনা করেন । তৎপর বগুড়া জেলার অন্তঃপাতী দুপচাচিয়া স্কুল হইতে ইনি ছাত্ৰবৃত্তি পরীক্ষণ দেন এবং উত্ত পরীক্ষায় উত্তীণ হইয়া বগুড়া জেলার মধ্যে সৰ্ব্বোচ্চ সান অধিকার করেন । ক্ৰমান্বয়ে প্ৰবেশিক পরীক্ষায় ও এফ, এ, পরীক্ষণাৎ উত্তীণ হইয়া। ১৮৯৪ সালে ইনি সম্মানের সহিত বি, এ, পরীক্ষাসু উত্তীণ হন। অর্থাভাব্যবশতঃ বি, এ, পাশ করার পরেই তাঁহাকে চাকুরী গ্ৰহণ করিতে হয় এবং কয়েক স্থানে শিক্ষকতা কাৰ্য্য করিখ ১৮৯৯ সালে বি, এল পরীক্ষা দেন । উক্ত পরীক্ষায় পঞ্চানন প্ৰথম বিভাগে উত্তীণ হইয়া কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মপো সৰ্ব্বোচ স্থান অধিকার করেন এবং স্বণ পদক ও পুরষ্কার স্বরূপ পুস্তকাদি প্ৰাপ্ত স্থান ; কৃষ্ণনগরে এফ, এ, পড়ার সময় বদ্ধমান জেলার অন্তৰ্গত কালনার নেব্যপাড়ার সুপ্ৰসিদ্ধ বসু মল্লিকের বংশে ইহার বিবাহ হয় । বি, এল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কিছুদিন যাবৎ ভাগলপুরে ওকালতী করেন এবং তাহার পর ১৯০১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মালদহে আসিয়া ওকালতী আরম্ভ করেন এবং আজ পৰ্য্যন্ত সেইখানেই ওকালতী করিতেছেন । মালদহে রায় বাহাদুর প্রায় ২৬ বৎসর ওকালতী করিতেছেন এবং জেলাবাসী সকলেই তাহাকে আন্তরিক ভালবাসে ও বিশেষ শ্রদ্ধা করে । ওকালতীতেও তাহার বেশ পন্সার প্রতিপত্তি আছে এবং তাহার সততা ও ব্যবসায়িক সাধুতার জন্য সকলেই তাহাকে যথেষ্ট খাতির করিয়া থাকে । ওকালতী ব্যবসায়ের সম্মান বজায় রাখিবার জন্য তিনি সৰ্ব্বদাই সচেষ্ট এবং উক্ত ব্যবসায়ে কেহ যাহাতে কোন ইীিন কা নিন্দনীয় কাজ।”