পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 বংশ পরিচয় । না করে, তৎপ্রতি তাহার দৃষ্টি আছে। দেশের লোকও সরকারী কৰ্ম্মচারী এই উভয় শ্রেণীর লোকের নিকট হইতে শ্রদ্ধা ও সম্মান লাভ করা কাহরাও অদৃষ্টে বড় একটা ঘটিয়া উঠে না । কিন্তু রায় বাহাদুরের সে সৌভাগ্য দ্রু ট্ৰয়াছে। যদিও তঁহার আদিম বাসস্থান বদ্ধমান জেলায়, তথাপি মালদহবাসী তাহাকে আপনার লোক বলিয়া জ্ঞান করে । মালদহ জেলার সর্ববিধ উন্নতির দিকে রায় বাহাদুরের মনোযোগ ও দৃষ্টি আছে । তিনি ডেলিগেট স্বরূপে কাশীর কংগ্ৰেসে ও তৎপরবর্তী বৎসরে কলিকাতার কংগ্ৰেসে উপস্থিত ছিলেন এবং ১৯০৪৫ সালের স্বদেশী আন্দোলনের সময় জেলার নানা স্থানে ভ্ৰমণ করিয়া ও সভাসমিতিতে বক্তৃতা করিয়া লোকের মনে স্বদেশাভাব উদবুদ্ধ করিতে তৎপর হইয়াছিলেন । দে শাহত করা সৰ্ব্ববিধ কাৰ্য্যেই রায় বাহাদুর বরাবর যথেষ্ট পরিশ্রম করিয়া থাকেন। মালদহের অক্ররমণি বিদ্যালয় হাঁহারই ঐ কান্তিক সন্ত্রে ও চেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত ও ক্রমে উন্নীত হইয়াছে এবং দ্বাদশ বর্ষের উদ্ধ কাল যাবত ইনি উক্ত স্কুলের সম্পাদক ছিলেন ! ইঙ্গার সর্বের্ণাঙ্গীন উন্নতি বিষয়ে ইনি বরাবর বদ্ধপরিকর ছিলেন এবং আছেন । উক্ত স্কুলের কর্তৃপক্ষগণ স্কুলগৃহে রায় বাহাদুরের তৈল চিত্র রাখার জন্য মনস্ত করিয়াছেন । রায় বাহাদুর পঞ্চানন মজুমদারই মালদহ জিলার সমবায় সমিতির জন্মদাতা । মাননীয় মিঃ কে, সি, দে মহাশয় যখন পূৰ্ব্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের সমবায় সমিতি সমূহের Registrar ছিলেন, ঐ সময় তিনি ১৯১১ সালে কৃষি শিল্প প্রদর্শনীর সময় মালদহে আসিয়া মালদহ আৰ্ব্বাণ ব্যাঙ্ক রেজিষ্টারী করিয়া দেন এবং ঐ সময়ে রায় বাহাদুর উক্ত ব্যাঙ্কের ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদ গ্ৰহণ করিয়া উহা অতিশয় যত্নের সহিত পরিচালনা করিতে থাকেন । তদবধি তিনি উক্ত ব্যাঙ্কের সহিত