পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यूनश-द्धांडव२भ । SS রামচরণ তীক্ষ বিষয়বুদ্ধিসম্পন্ন ও ধূৰ্ত্ত ধ্যক্তি ছিলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় তাঙ্গার তীক্ষ্মবুদ্ধিই সুসঙ্গের সর্বনাশী-সাধনে ও নিজ স্বার্থসাধনেই নিয়োজিত হয়। এই কাৰ্য্যে সহায়ক ছিলেন রাজগুরু কৃষ্ণহরি বিশারদ। ইহাদের পরামর্শে বিশ্বনাথের অজ্ঞাতসারে গোপীনাথ ও জগন্নাথ কালেক্টরীতে নাম জারী করান। বিশ্বনাথ প্ৰথমে ইহা জানিতে পারেন নাই, কিন্তু অবশেষে জানিয়াও বোধ হয় ইহার ফল ভবিষ্যতে কি হইতে পারে তাহ অনুমান করিতে না পারিবার ফলে এবং সম্ভবতঃ স্বাভাবিক ঔদাৰ্য্য ও ভ্রাতৃস্নেহ বশতঃ প্ৰথমতঃ ইহার প্রতিকার- প্ৰচেষ্টা করেন নাই। কিন্তু ভ্ৰাতৃগণের বৈরীভাব যখন ক্রমশঃ গুরুতর আকার ধারণ করিল, তখন আদালত যোগে জ্যেষ্ঠানুক্ৰমিক সম্পত্তির অধিকারী হওয়ার প্রথা বহাল রাখিবাব চেষ্টা করেন । এই মোকৰ্দমা Privy Council og bf{VT5 লাগিল । সুসঙ্গের রাজগণ গারো পৰ্ব্বতের অতুল বিভবরাশির মালিক হওয়ায় সমতল ভূমির আয়ের উপর তৎকালে অধিক দৃষ্টিপাত করেন নাই । পাহাড়ে হাতী খেদায় প্রতি বৎসর প্রচুর হাতী ধূত হইত এবং পর্বতজাত নানা প্রকার বৃক্ষ ও খনিজ পদার্থ হইতে প্ৰভূত পরিমাণ ধনাগম হইত। প্ৰাচীন পত্ৰাদি হইতে ইহাও প্ৰমাণিত হয় যে, একবার স্বয়ং দিল্লীশ্বর সুসঙ্গে হাতী খেদা দেখার অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। ঠিক এই সময়ে গবর্ণমেণ্ট গারো পর্বতের কয়েকটী গ্রাম যাহা পূৰ্ব্ব সুসঙ্গ রাজ্যের অধিকারভুক্ত ছিল তাহা পৃথকভাবে বন্দোবস্ত করিতে থাকেন ( ১৮৩৭ খৃঃ অঃ ) { কিছুদিন ইহা লইয়া গোলযোগ করার পর ১৭ই মার্চ ১৮৪১ খৃষ্টাব্দে আসামের কমিশনার সাহেব সেইসকল গ্রাম ছাড়িয়া দেন এবং সুসঙ্গের অন্তভুক্ত বলিয়া স্বীকার করেন। বিশ্বনাথের মৃত্যুর পর তাহার একমাত্ৰ পুত্ৰ তীক্ষ্মবুদ্ধিসম্পন্ন, সুচতুর, মহাকৰ্ম্মী প্ৰাণকৃষ্ণ সকল প্ৰকার অশান্তি সহ পিতৃসম্পত্তির অধিকারী হন।