পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বারেন্দ্ৰশ্রেণী কায়স্থ নাগ বংশ RYSSD দুইটাই অতি সুন্দর ও মনোহর দেখিয়া সন্ন্যাসী ঠাকুর কোনটাই ত্যাগ করিলেন না ; দুইটাই গ্ৰহণ ইচ্ছা করিলেন এবং তৎক্ষণাৎ ঐ সুত্রধর হঠাৎ দৃষ্টির বহির্ভূত হইল। অনন্তর সন্ন্যাসী ঠাকুর অতি যত্নে ** রামগোপাল’ সেবা সংস্থাপন করিলেন এবং অতি কষ্টে গোপন ভাবে সেই মহারণ্যে সেবা চালাইতে লাগিলেন এবং পরে রামগোপালের অনুগ্রহে বুঝিতে পা রিলেন যে, ঐ সূত্ৰধর উক্ত মঠ বাড়ীর মঠস্থিত দেবমূৰ্ত্তি ভিন্ন আর কেহ নহেন এবং ঐ মূৰ্ত্তিদ্বয়ে তিনি এই প্রকারে নিজেকেই প্ৰকট করিয়াছেন । কিছুদিন পর ঐ দেবতলার নিকটবৰ্ত্তী অরণ্য মধ্যস্ত জনপদ গুলিতে এক গণ্ডারের উপদ্রব হইল। এজন্য ইহার নাম হইল গাড়ারখোলা । ইহা শৈলকুপার অপর পাশ্বে কুমার নদের তীরে বিদ্যমান আছে। ঐ গণ্ডার দ্বারা বহু মনুষ্য ও অন্যান্য জীব গাতপ্ৰাণ হওয়ায় প্ৰজা সকল গ্ৰামান্তরে পলায়ন করিতে লাগিল ও তৎকালীন দেশাধিপতি নলড়াঙ্গার রাজসরকারের নিকট গণ্ডার বন্ধের সাহায্য প্রার্থনা করিল ! রাজা অনেক চেষ্টা ও ব্যয় করিয়াও গ'ণ্ডারের আশঙ্কা নিবারণে অক্ষম হইলেন । এই সময়ের মধ্যে “রামগোপাল” মূৰ্ত্তি আর ততদূর গুপ্ত অবস্থায় ছিলেন না ! দেবতার আদেশে সন্ন্যাসী ঠাকুর পাণিগ্ৰহণ করিয়! সন্তান সন্ততিসহ সেবার কার্য্য চালাইতেছিলেন এবং কুটুম্ব ও র্তাহ’ আিদগের দাস দা সিগণের অনেক সময় তথায় যাতায়াত হেতু নিকটস্থ জনস' }প পুণ “রামগোপালের” অস্তিত্ব ও অসীম সামর্থ্য ক্ৰমে অবগত হইয়াছিলেন এবং অনেকেই রামগোপালের “মনসা” করিয়া সিদ্ধ মনস্কাম হওয়ায় জনতা অনেক বৃদ্ধি হইয়াছিল। প্ৰজাগণ রামগোপালের প্ৰশংসা শুনিয়া তাহদের “মানসা’ করিবার জন্য রাজাকে বিশেষ অনুরোধ করিলেন । যদি গণ্ডারের উৎপাত যায়, তবে রামগোপালের সেবার সু ব্যবস্থা করিবেন । রাজা একদিন এই ‘মানসা’ করায় পরদিন