বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাবেলীর বাসাবাটীর নাগ বংশ ఇరిరి সমাজে খ্যাতি অর্জন করিয়া আসিতেছেন । দ্বিীপচন্দ্ৰ নাগ অনুমান ১১৬০ সালে নাভিগয়ায় তীর্থ করিবার পর গঙ্গা তীরে ১২০৫ সালে দেহ ত্যাগ করেন। তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র ৬ গোরাচাদ নাগ পারস্য ভাষায় সুপণ্ডিত ও অত্যন্ত তীক্ষবুদ্ধি সম্পন্ন ছিলেন । তিনি অত্যন্ত উদার আন্তঃকরণের লোক ছিলেন । দেশে কেহ কোনও আপদ বিপদে পতিত ভইলে তিনি "অর্থ সামগ্য দিয়া ভাঙ্গাকে বিপদ হইতে উদ্ধার করিতেন ! তাহার পিতৃ বিয়োগকালে কনিষ্ঠ দুইটি ভ্রাতা, যুগল কিশোর ও বংশীবদন নাবালক ছিলেন, তিনি তাঙ্গাদিগের প্রতি জ্যেষ্টের হ্যায় সদা বহার করিয়া আসিতেছিলেন এবং নিজের একমাত্ৰ পুত্ৰ ঈশ্বরচন্দ্ৰ নাগের আকালে মৃত্যু হওয়ায় অর্থ সঞ্চায়ের দিকে আদৌ লক্ষ? না। রাখিযা দেশে দুঃস্থ দরিদ্রদিগের সাহায্য করিতেন । বাঘুটিয়া নিবাসী প্রধান মুখ্যাকুলীন ৬৮ সাগলকিশোর ঘোষের কন্যাকে ( নড়াইলের বাব রামারপ্লন বায়ের মাতৃস্বাস ) বিবাহ করেন । কিন্তু তদগভজাত একমাত্র পুত্র ঈশ্বব চন্দ্রের অকালমৃত্যু হইলেও বহুদিন তিনি বিপত্নীক অবস্থায় ছিলেন । পরে ১১২৫ সালে প্ৰায় ৪৫ বৎসর বয়সে পারমধু দয়া নিবাসী ৬. নিমচাঁদ দোষ চৌধুরীর কন্য। আনন্দময়ীকে বিবাহ করেন । তাতার গভে ৪ পুত্র ও ১ কঠা জন্মে ; পুত্ৰগণের মধ্যে অভয়াচরণ ১ ২ ৩০ সালের চৈত্র মাসে ভূমিষ্ঠ হন । ইনি পিতার নিকট কিছু পাশী ও জ্যোতিষশাস্ত্ৰ শিক্ষা করেন । গোরাচাদ নাগ ১২৫৪ সালের জ্যৈষ্ট মাসে পরলোক গমন করেন । তখন দ্বিতীয পুত্র অম্বিকাচরণ ও কনিষ্ঠ পুত্র রাসবিহারী যথাক্রমে ১০ বৎসর ও ৫ বৎসর বয়স্ক ছিলেন ! গোরাচাদ নাগ পুত্ৰগণের জন্য বিশেষ কিছু সঞ্চিত ধন না। রাখিয়া যাওয়ায় "অভয়চরণ, অম্বিকাচরণ ও রাসবিহারীর আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল ছিল না । কিন্তু জ্যেষ্ঠ অভয়াচরণ অত্যন্ত ধৰ্ম্মভীরু ছিলেন । সামান্য পৈতৃক সম্পত্তির অংশ হইতে যাহা কিছু আয় হইত। তদ্বারা কোনও