পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RS বংশ-পরিচয় । তিনি অনেক সৎকাৰ্য্য করিয়াছেন । পুত্রসন্তান না থাকায় তিনি ললিত মোহন মৈত্রকে দত্তক গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। ললিতমোহনও কুলীন-সন্তান ছিলেন। ১২৯৬ সালের মাঘ মাসে আনন্দমোহন মৈত্র মহাশয় ৯০ বৎসৱ বয়সে শ্ৰীবৃন্দাবনধাম লাভ করিয়াছেন। ললিতমোহন অতুল সম্পত্তির অধিকারী হইয়া সম্পত্তির সদ্ব্যবহারই করিয়াছেন । তিনি অত্যন্ত প্ৰজারঞ্জক ছিলেন। প্ৰজাগণের কোন প্রার্থনাই তাহার নিকট অপূর্ণ থাকিত না । দুভিক্ষ বা অজন্মার বৎসর নিজ গোলা হইতে ধান্য দিয়া অভাবগ্ৰস্ত প্ৰজাগণকে সাহায্য করিতেন । এই উদ্দেশ্যে স্বীয় জমিদারী মধ্যে মালদহ জেলার দুইটী মফঃস্বল কাছারীতে এবং রাজসাহা জেলার একটী মফঃস্বল কাছারীতে ও তালন্দ সদর কাছারীবাড়া মোকামে সর্বদা ধান্য মজুত রাখিতেন। প্ৰজাগণ সুদ দিতে পরিবে না বলিয়া ধরিলে তিনি তৎক্ষণাৎ সুন্দ বাদ দিতেন। ঐ সমস্ত দুঃস্থ প্ৰজাকে তিনি কখন পীড়ন করেন নাই। এমন কি আসল ধান্যও অনেককে মাপ করিয়াছেন । তাহার দেড় লক্ষ টাকার এষ্টেটে বাকী খাজনার নালিশ ৩০৷৪০টী ব্যতীত বেশী হয় নাই । যাহারা তামাদির আপত্তি করে তাহদেরই নামে বাধ্য হইয়া নালিশ করিতে হইয়াছে। যাহারা তােমাদির আপত্তি করে নাই, তাহদের নামে কখনই নালিশ হয় নাই। অনেকে আসল খাজনাও মাপ পাইত । এক প্ৰজার ৬ ৭ বৎসরের বাকী থাকিলেও তথাপি তাহার নামে বাকী খাজনার নালিশ হয় নাই। প্ৰজাগণও তেমনি যে বৎসর সুআবাদ পাইত, সেই বৎসর সাধ্যমত সমস্ত খাজনা শোধ করিয়া দিত। র্তাহার এষ্টেটে প্ৰজাপীড়ন নাই। প্ৰজাদের উপকারার্থে তিনি তােলন্দ গ্রামে সম্পূর্ণ নিজ ব্যয়ে একটী Çभशठ श|S