পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় ما تواج সুদূর বারাণসীধামে আত্মীয়স্বজনপরিত্যক্ত হইয়া যাইতে দিতে বিরোধী হন । কিন্তু প্ৰাণ যাহার ছুটিয়াছে তাহাকে বাধা দেয় কে ? অন্যান্য সময়েও এইরূপ প্ৰতিরোধ হওয়া সত্ত্বেও গোপালচন্দ্ৰ স্বীয় পত্নী সমভিব্যাহারে তীর্থ ভ্ৰমণ করিয়া আসিয়াছেন, এবারেও তিনি এষ্ট সকল বাধা-বিঘ্ন ভ্ৰক্ষেপ না করিয়া বারাণসীধামে শেষ জীবন কাটাই বার জন্য কৃতসঙ্কল্প হইয়াছেন । আজ তিনি পবিত্ৰ বারাণসী-বাসী ব্ৰাহ্মণ পবিত্ৰ বারাণসীধামে স্বীয় সহধৰ্ম্মিণী সমভি ব্যাহারে ভগবৎ চিন্তা”: নিজের জীবনের অবশিষ্ট অমূল্য সময়ের সদ্ব্যবহার করিতেছেন ও পারকালের জন্য প্ৰস্তুত হইতেছেন। যে সময়টুকু ভগবদুপাসনা অথবা স । শাস্ত্রপাঠে ব্যয় না হয় তাহাই সময়ের অপব্যয় হইয়াছে বলিয়া তাহাবু মনে হয় । দ্বাত্রিংশত বৎসর হইতে অদ্য চতুঃসপ্ততি বৎসর বয়স পয্যন্ত তিনি অব্যবহিত ভাবে স্বধৰ্ম্ম পালন করিয়া আসিতেছেন । সাধুসেবা করিয়া গোপালচন্দ্র জীবনে ক’ত আনন্দ পাইতেন তাহার সভাপতির অভিভাষণের উপসংহারে একটি ঘটনা উল্লেখ করিয়া বলিয়াছেন ঃ“কলিকাতা বেদবিদ্যালয় দেখিয়া বড় ইচ্ছা হইল তাহার অধ্যাপক ও ছাত্রগণকে একদিন নিমন্ত্ৰণ করিয়া ব্ৰাহ্মণভোজন করাই । অধ্যাপক - গণের আদেশমত বিশেষ বিশেষ খ্যাপ্তের আয়োজন যত্নসহকারে করিলাম। খাইতে বসিবার পূৰ্ব্বে তাহারা পাদ প্ৰক্ষালন করিতে যাইলেন। একজন প্ৰবীণ ছাত্র বলিলেন, যদি ব্ৰাহ্মণ-ভোজনের ফল চাহেন, তাহা হইলে আপনি স্বয়ং পাদ-প্ৰক্ষালন করিয়া দিন । আপনার স্ত্রী জল ঢালিয়া দিন ও আপনি পা ধুইয়া দিন। তখন গ্রীষ্মকাল ও প্রখর রৌদ্র । আমি সেই রৌদ্রে বসিলাম । অধ্যাপকগণ এক ভূতাকে আমার মস্তকে ছত্ৰ ধরিতে বলিলেন । আমার স্ত্রী জল ঢালিয়া দিতে লাগিলেন এবং আমি ব্ৰাহ্মণগণের অর্থাৎ ক্ষুদ্র বালকটির পর্য্যন্ত ভক্তি c*tびディat独エ