পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to 8 ९o-eब्रिाष्म । বাইত, তবে সেই সঙ্গে সঙ্গে দ্বারকানাথেরও বক্ততার স্রোত বন্ধ হইয়া যাইত। এই কারণে তিনি যখন বক্ততা করিতে উঠিতেন, তখন একটি লোক একগোছা পেন কলম লইয়া তাহার পশ্চাতে দাড়াইয়া থাকিত এবং একটি কলম ভাঙ্গিবামাত্র অমনি আর একটা তাহার হাতের মধ্যে গুজিয়া দিত। কলিকাতা হাইকোটে পািনর জন জজের নিকট একটি দাসীর মোকদ্দমা (Rent case) হয় । সেই মোকদ্দমায় দ্বারকানাথ দরিদ্র প্রজা ঠাকুরাণী দাসীর পক্ষ বিনা পারিশ্রমিকে গ্ৰহণ করেন। সেই সময়ে তিনি যে বিদ্যাবুদ্ধি ও প্ৰতিভার পরিচয় দেন তাহাতে সমস্ত দেশ একেৰারে বিস্মিত, স্তম্ভিত ও চমৎকৃত হইয়া পড়ে। সাত দিন দ্বারকানাথ সমভাবে বক্ততা করিয়াছিলেন। জজ, ব্যারিষ্টার, উকিল ও দর্শকগণ সকলেই তাহার অসাধারণ ক্ষমতায় মুগ্ধ হইয়া তাহার যশঃ ঘোষণা করিতে থাকেন। ভারতের ও ইংলণ্ডের সমস্ত সংবাদপত্ৰে শতমুখে তাহার প্রশংসাবাদ প্ৰকাশিত হইয়াছিল। এই মোকদ্দমায় দ্বারকানাথের সূক্ষ্ম তর্ক ও অকাট্য যুক্তি দেখিয়া প্ৰধান বিচারপতি স্যার বাৰ্ণেস পিকক তঁাহাকে হাইকোটের বিচারপতির আসন গ্ৰহণ করিতে অনুরোধ করেন । সে ১৮৬৭ সালের কথা, তখন হাইকোটের জজীয়তী এক শম্ভুনাথ পণ্ডিত ভিন্ন অন্য কোন বাঙ্গালীর ভাগ্যে হয় নাই। হাইকোটের জজ তখন একটা দেখিবার, বলিবার ও শ্লাঘা করিবায় বিষয় ছিল । ১২৭৪ সালের ২৫শে আষাঢ় তাহার জজ-পদ প্ৰাপ্তিতে ‘সোমপ্রকাশ” পত্রে প্রকাশিত হইয়াছিল-“বাৰু দ্বারকানাথ মিত্ৰ হাইকোটের বিচারপতি-পদে প্ৰতিষ্ঠিত হইয়াছেন । উকিলদল হইতে লোক মনোনীত করিতে হইলে ইহঁকেই অগ্ৰে মনোনীত করা বিধেয় । ইনি সর্বাপেক্ষা সমধিক ক্ষমতাপন্ন ও যেমন বুদ্ধিমান, তেমনি আইনে দক্ষ, কেবল অল্পবয়স্ক বলিয়াই আমাদের কিঞ্চিৎ ভয় বোধ হয়। কারণ, একে ত এরূপ পদ এদেশীয়দিগের