পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগীয় বিচারপতি দ্বারকানাথ মিত্ৰ KD o 6 দুপ্রাপ্য, যদি বা গবৰ্ণমেণ্টের দুর্ভেন্ত মুষ্টি হইতে একটিমাত্র বিগলিত হইয়া পড়িয়াছে, এটি পাছে কাহার দোষে আবার এদেশীয়দিগের হস্তপরিভ্রষ্ট হইয়া যায়, এই আমাদিগের বিষম শঙ্কা। যাহা হউক, যেরূপ জনরব উঠিয়াছিল। তাহা সত্য না হইয়া দ্বারকানাথবাবু যে এ পদ পাইয়াছেন, ইহাতে কেবল আমরা নই, সকলেই সন্তুষ্ট হইয়াছেন ।” দ্বারকানাথ যে সময়ে বিচারপতির আসন গ্ৰহণ করেন, তখন তঁহার বয়স ৩৪ বৎসর মাত্র । ১৮৭১ সালের ১৭ই এপ্রিলের ‘সোমপ্ৰকাশ” লেখেন,- বাবু দ্বারকানাথ মিত্রের ন্যায় ব্যবহারাজীব কেবল ভারতবর্ষ বলিয়া নয়, পৃথিবীর মধ্যে অল্পই জন্মগ্রহণ করিয়াছেন । বিচারপতি হইয়াও তিনি অল্প ক্ষমতা প্ৰদৰ্শন করিতেছেন না । স্যার বর্ণেস পিককের মত আইনজ্ঞ বিচারপতি এ পৰ্য্যন্ত হাইকোটে উপবেশন করেন নাই, এমন স্তার বার্ণেস পিকককেও মধ্যে মধ্যে বিচারশক্তিতে দ্বারকানাথ অতিক্রম করিতেন । ফুলবেঞ্চে ফারমান খ্যা বনাম ভারতচন্দ্ৰ সা চৌধুরী ও অপর দুইটি মুসলমানসংক্রান্ত মোকদ্দমার বিচারে দ্বারকানাথ মুসলমান আইনে যে অভিজ্ঞতার পরিচয় প্ৰদান করেন, অনেক মুসলমান আইনজ্ঞ উকিলও তাদর্শনে লজ্জায় অবনত zyrgas za (Appendix IV, 2nd judgment ) i for Vièta তাহার অসীম জ্ঞান ছিল। একটি মোকদ্দমায় প্ৰিভি কৌন্সিলের রায় প্ৰকাশিত হইবার পূর্বে দ্বারকানাথ যে রায় লিখিয়াছিলেন, তাহারসম্বন্ধে স্তার বর্ণেস প্রকাশ্য আদালতে ষে মন্তব্য মুক্তকণ্ঠে প্ৰকাশ করিয়াছিলেন, তাহা নিয়ে উদ্ধত করা গেল :- “The judgment of Mr. Justice Dwaraka Nath Mitter, which he has just read and in which he has dis played great learning, ability and research, was written before the docision of the Privy Council of Gridhari RQo