পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«O o est-effabs চট্টগ্রামের বৈশ্বানরগোত্রীয় সেনবিংশ । মহাত্মা “সত্যরাম” চট্টগ্রামের সুপ্ৰসিদ্ধ বৈশ্বানরগোত্রীয় সেন বংশের আদিপুরুষ। এই সেন বংশের কুৰ্চিপত্রের শিরোভাগের লিখিত শ্লোকপাঠে জানা যায়, তিনি রাঢ়ীয় বৈদ্য ছিলেন । নামান্তে শৰ্ম্ম পদবী লিখিতেন । শ্লোকটি এই-- “রাঢ়ায়াং পশ্চিমে দেশে কুলছাত্র সমুদ্ভবঃ । বৈশ্বানৱস্ত গোত্ৰস্তন্য সেন রাঘবশৰ্ম্মিণ: | Şप्लेgव्ल क्रांध्छडिक नङाः द्राभरिछर्छजिक दक्रएक ! যশো রাঢ়ে সমুদিত্য সেনাটাবুপতিষ্ঠতি ॥” পশ্চিম জনপদস্থিত রাঢ়নগরীতে বৈশ্বানর গোত্রীয় রাঘবসেনশৰ্ম্মার শ্ৰেষ্ঠ কুলীনবংশ-সস্তৃত “সত্যরাম” চট্টলে গমন করেন । রাম বঙ্গদেশে থাকেন এবং যশোরাম রাঢ়দেশে প্ৰতিষ্ঠা লাভ করিয়া সেনাটী গ্রামে বসতি করিতেছেন । বংশপরম্পরায় জনশ্রুতি যে, “সত্যরাম” দিল্লীর সম্রাটের অশ্বারোহী সৈনিক-বিভাগের কৰ্ম্মচারী ছিলেন । তিনি নানা ঘটনা-বিপৰ্য্যয়ে পড়িয়া চট্টগ্রামে আসিয়াছিলেন । চট্টগ্রামের একটা চাকুলার নাম চক্রশালা ছিল, পূর্বে দূরূহ। পৰ্ব্বতশ্ৰেণী, পশ্চিমে সুবিশাল বঙ্গোপসাগর, উত্তরে কর্ণফুলী নদী এবং দক্ষিণে শঙ্খ নদী। এই চাকলার চতুঃসীমা প্ৰকৃতির ক্রীড়া-নিকেতন । এই মনোরম পুণ্যভূমি সুদৃঢ় দুৰ্গরূপে যুগযুগান্ত ব্যাপিয়া স্থিত রহিয়াছে। এই চতুঃসীমার মধ্যবৰ্ত্তী জনপদে সম্রান্ত ব্ৰাহ্মণ, বৈদ্য ও কায়স্থগণের বসতি। বর্তমানে ইহা পটীয়া মহকুমার অন্তৰ্গত এবং সর্বপ্ৰধান স্থান কলিয়া পরিগণিত। মহাত্মা “সত্যরাম”অশ্বারোহণে পার্বত্যভূমি অতিক্রম করিয়া চক্রশালার দক্ষিণ সীমাবস্ত্ৰী শঙ্খানদীর তীরসন্নিহিত স্থানে কোন এক সন্ত্রান্ত সমৃদ্ধিশালী ব্যক্তির গৃহে অতিথি হন । র্তাহার প্রতিভা