পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

en-offs و 8 ۹O মোহিনীমোহন রাজকাৰ্য্য হইতে অবসর গ্ৰহণ করিবার পূর্বে কিছুদিনের জন্য ভাগলপুরে জিলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও কালেক্টরের কাৰ্য্য করেন ; তাহার তৎকালীন পেস্কার এখনও জীবিত থাকিয়া পেনসন ভোগ করিতেছেন । মোহিনীমোহনের প্রসঙ্গ উপস্থিত হইলে তিনি স্বতই বলিয়া থাকেন-“আমি বহু হাকিমের অধীন চাকরী করিয়াছি, কিন্তু ভঁাহার মত ন্যায়নিষ্ঠ, তেজস্বী অথচ কোমলহৃদয় হাকিম কখনও দেখি নাই। তিনি দণ্ড দিবার সময়ে আসামীকে বলিতেন-“দেখ, বাবা, তুমি দোষী কি নির্দোষ তাহা আমি নিশ্চয় জানি না ; প্ৰকৃত ঘটনা অবশ্য একমাত্র ভগবান জানেন । কিন্তু তোমার বিরুদ্ধে ষে সকল প্ৰমাণ আমার সমক্ষে উপস্থিত হইয়াছে সেগুলি তোমার দোষই সপ্ৰমাণ করিতেছে। অতএব, আইন অনুসারে বাধ্য হইয়া তোমাকে দণ্ড দিতে হুইতেছে। এজন্য আমি দুঃখিত।” মোহিনীমোহনের ছাত্রজীবন ও কৰ্ম্মজীবনের যে গৌরব কাহিনী এখনও পৰ্য্যন্ত লোকমুখে প্ৰচারিত হইতেছে, তাহ ভিন্ন তঁাহার প্ৰতিভায় প্রীত ও কৰ্ম্মকুশলতায় মুগ্ধ শিক্ষক ও পৃষ্ঠপোষকগণের প্রদত্ত বহু প্ৰশংসা-পত্রের উদ্ধার সাধন হইয়াছে। মোহিনীমোহন অনন্যসাধারণ কৃতিত্ব ও সম্মানের সহিত কৰ্ম্মজীবন অতিবাহিত করিয়া সরকারী কাৰ্য্য হইতে অবসরগ্রহণপূর্বক সুদীর্ঘ ২৭ বৎসর পেনসন ভোগ করেন। সাধারণতঃ অবসর-গ্রহণ ও পেনসনভোগ নিক্রিয়তাসূচক হইলেও কৰ্ম্মী মোহিনীমোহনের এই বাৰ্দ্ধক্য ও দীর্ঘ অবসরকাল একটা যৌবনসুলভ উদ্যম ও অক্লান্ত কৰ্ম্মের মধ্যেই অতিবাহিত হইয়াছে । জন্মগত অধিকারস্বরূপে তিনি যে নিয়মানুবৰ্ত্তিতা, নিষ্ঠা ও ধৰ্ম্মভাব পিতা ও মাতার নিকটে প্রাপ্ত হয়েন এবং বাল্যে ষে আদর্শ ঐ সদগুণনিচয়ের মধ্য দিয়া তঁহার জীবনে পরিস্ফুট হইয়া পড়ে, তাহাই তাহার কৈশোরে অসাধারণ মেধা এবং যৌবনে অপরিমেয়