পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীবাটীর চন্দ্ৰ-বংশ vo99 অপলাপ করিলে, এই বংশের মহাপুরুষ রুক্মিণীবল্লভ বলিয়াছিলেনযাউক সে না হয় বড় কাঙ্গালীতেই লইয়াছে। ইহা কম তিতিক্ষার কথা নহে। এই বংশের অনেক রমণী সতীদাহে গিয়াছেন। তাহদের --- অপ্রচুলা (বস্ত্ৰখণ্ড ) আজ পৰ্য্যন্ত ইহাদের ঘরে সঞ্চিত আছে। বংশগত সদাচার, সদাব্যবহার, সন্নিষ্ঠা, দয়া-দক্ষিণ্য, পরোপকারপ্ৰবৃত্তি লইয়া স্বৰ্গীয় হরিহর চন্দ্র ১২৬৮ বঙ্গাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ও ৬৫ বৎসর বয়সের সময় সন ১৩৩৩ সালের মাঘ মাসে সজ্ঞানে ইষ্ট চিন্তা করিতে করিতে গঙ্গাগর্ভে স্বৰ্গগমন করেন। তঁহার পিতার নাম কৈলাশনাথ চন্দ্র । তিনি অতি বলবান ও তেজস্বী পুরুষ ছিলেন। হরিহরের তিন বৎসর বয়ঃক্রমকালে কৈলাশনাথ চন্দ্ৰ স্বৰ্গগত হয়েন । হরিহর চন্দ্রের দুই পুত্র ও পাচ কন্যা । জ্যেষ্ঠ পুত্র ধনপতি চন্দ্ৰ বিষয়কৰ্ম্মে ব্যাপৃত ; কনিষ্ঠ সচ্চিদানন্দ বি-এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া এম-এ পড়িতেছেন। হরিহর চন্দ্ৰ অতিশয় সুশ্ৰী ও কান্তিমান পুরুষ ছিলেন। তিনি প্ৰথম বয়সে সংসার-বিরাগী ও জপতাপ-নিরত ছিলেন । এই সময়ে তিনি ভারতের প্রায় সকল প্রধান প্ৰধান তীর্থ পৰ্য্যটন করেন । পরে জ্যেষ্ঠদের অনুশাসনে ও মাতার নির্বন্ধতিশয়ে সংসারী হন । তিনি কীর্ণহার-নিবাসী ৬/কৃষ্ণবল্লভ রায়ের কন্যা শীতলা সুন্দরীকে বিবাহ করেন। সন ১৩১৬ সালে তঁহার পত্নীবিয়োগ হয়। হরিহর চন্দ্ৰ অতিশয় মাতৃপিতৃভক্ত ছিলেন । মাতার আদেশ কখন লঙ্ঘন করেন নাই ; পিতৃ-চরণের বাধা প্রতিদিন পূজা করিয়া। তবে জলগ্ৰহণ করিতেন । তিনি তীর্থভ্ৰমণের পর জানি না। কিরূপে এক শক্তি অর্জন করিয়াছিলেন, পরের মুখ দেখিয়া ভঁহাৱ চরিত্র ঠিক বলিয়া দিতেন । তিনি স্বজাতির উন্নতিকল্পে সন্ন ১৩১৭ সালে মাননীয় বি কে পালের সহযোগে গান্ধবণিক জাতিকে ংঘবদ্ধ করাইয়া বৈশ্যাচার গ্ৰহণ করাইবার জন্য বিশেষ চেষ্টা ও