পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vob7 Sq বংশ-পরিচয় ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দে তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভ্য নির্বাচিত হন ও উক্ত পদে স্থায়ী সভ্যরূপে তিনি এখনও বৰ্ত্তমান । তদানীন্তন বঙ্গের ছোট লাট বাহাদুর তাহাকে বঙ্গীয় কৃষি-সভার অন্যতম সভ্যপদে মনোনীত করেন । তিনি ১৯০৬ খ্ৰীষ্টাব্দে বঙ্গের “এসিয়াটিক সোসাইটী”র একজন সভ্যরূপে নির্বাচিত হন এবং ১৯০৭ খৃষ্টাকে ইণ্ডিয়ান রিসার্চ সোসাইটির সভ্যরূপে পরিগণিত হন। পশ্চিম বঙ্গের প্ৰাদেশিক সম্মিলনীতে তিনি অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতিরূপে গৃহীত হন । তিনি ময়মনসিংহবাসী সর্বসাধারণের এত অধিক প্রীতি ও বিশ্বাসভাজন যে, তাহারা তাহাকে প্ৰাদেশিক সম্মিলনীতে সভাপতির পদে বরণ করিয়াছিলেন, কিন্তু রাজনীতি সম্বন্ধে অন্যান্য সভ্যদের সহিত একমত হইতে না পারায় তিনি উক্ত সম্মান প্ৰত্যাখ্যান করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । তাহার অনন্যসাধারণ গুণাবলীতে মুগ্ধ হইয়া গুণগ্ৰাহী মাননীয় বৃটিশ রাজ ১৯২৪ খৃষ্টাজের ৩১ মার্চ তাহাকে কলিকাতা হাইকোর্টের বিচারাসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি উক্তপদে নিযুক্ত হইয়া অতীব যশোর সহিত কাৰ্য্য পরিচালন করিতেছেন। বিচারকার্য্যে তঁাহার অনন্যসাধারণ প্ৰতিভা ও নীতিশাস্ত্ৰে তাহার প্রগাঢ় পাণ্ডিত্য রাজকীয় ও অ-রাজকীয় সর্বসাধারণকে বিস্ময়ে অভিভূত করিয়াছে । তাহার কাৰ্য্যপ্ৰণালীতে সকলেই আপ্যায়িত ও মুগ্ধ ৷ বিচারাসনে বাদী প্ৰতিবাদী কেহই অসন্তুষ্ট হইয়া প্ৰত্যাগমন করে না। সকলেই তঁহার সুবিচারের প্রশংসা করেন। বিচারকার্য্যে তাহার যশোরাশি ইতিমধ্যেই দিগন্তবিস্তৃত হইয়াছে। তিনি ৬৪ বৎসর ক্রমকালে হাইকোর্টের বিচারাসনে আরোহণ করিলেন। হাইকোর্টের নিয়মানুসারে ৬০ বৎসর বয়ঃক্রমের পর কেহ উক্ত আসন