পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○レrbア বংশ-প রিচয় লাভ করিতেন। তঁহার বিশাল সহৃদয়তার বেষ্টনের মধ্যে সকলকারই স্থান ছিল । পরিচারক-পরিচারিকা পৰ্য্যন্ত কোন দিন তাহার মুখে। রূঢ় কথা শুনে নাই। সমব্যবসায়ী জুনিয়ারগণ তাহার নিকট সমধিক উৎসাহ ও সাহায্য লাভ করিত। এটণী স্বৰ্গীয় ভূপেন্দ্রনাথ বসু, মিঃ জে সি দত্ত ও শ্ৰীযুক্ত হীরেন্দ্ৰনাথ দত্ত তাহার আটকেল ক্লার্ক ছিলেন। বিশ্ববিশ্রাত স্বামী বিবেকানন্দ প্ৰথম জীবনে তাহার নিকট আটকেল ক্লার্ক ছিলেন । তাহার মত স্বজন-বৎসলও এ যুগে বিরল। তিনি একটা বিরাট একান্নবৰ্ত্তী পরিবারের কৰ্ত্তা ছিলেন। একশতাধিক আত্মীয়স্বজন লইয়া একই পরিবার মধ্যে সুদীর্ঘ কাল শান্তিতে বাস করার দৃষ্টান্ত এই কলিকাতা সহরে নিমাইবাবুর বাটীতেই দেখা যাইত। আজও তাহার পরিবার মধ্যে এই একান্নবিত্তী পারিবারিক নিয়ম অব্যাহতভাবে চলিতেছে । তাহার প্রিয় শিষ্য ভুপেন্দ্ৰনাথ বসু এই বিষয়ে নিমাইবাবুর আদর্শ স্বীয় পরিবার মধ্যে প্ৰবৰ্ত্তিত করিয়াছিলেন । নিমাইবাবুর বিশাল পরিবারের পাকশালায় প্রতিদিন দুই মণ চাউল সিদ্ধ হইত এবং তাহার আনুসঙ্গিক ব্যয় তিনি চিরদিন স্বয়ং বহন করিয়াছেন । কোন এক সময়ে তাহার। বৰ্দ্ধমান পরিবারবর্গের পুরাতন বসতবাটীতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় তিনি সঙ্কল্প কপেন, রাস্তার পরপারে একটা নুতন বাটী নিৰ্ম্মাণ করিবেন ; সঙ্কল্প কাৰ্য্যে পরিণত করিতে র্তাহার অধিক সময় লাগিতা না ; জমী সংগ্রহ, উপকরণ ংগ্ৰহ সবই হইয়া গিয়াছে, এমন সময় তঁহার এক ভ্ৰাতা আসিয়া দাদাকে অনুরোধ করিলেন যে, তিনি বাড়ী ছাড়িয়া যেন না যান, ভ্ৰাতৃবৎসল জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা তৎক্ষণাৎ সঙ্কল্প ত্যাগ করিলেন । পুরাতন বাটীকে আরও বদ্ধিত করিলেন । তাহার ফলে এখনকার ২৮ নয়ানচাদ