পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাকাশিপাড়া সিংহরায় জমিদার-বংশ । পলাশী যুদ্ধের কিছুকাল পূর্বে পশ্চিমে রাজপুতনা হইতে রােমরাম সিংহ নামক জনৈক বার ওয়ার রাজপুত বহু লোকজন-সমভিব্যাঙ্গারে বঙ্গদেশে আসিয়া বসতি স্থাপন করেন। নদীয়া জেলার অন্তর্গত বৰ্ত্তমান নাকাশিপাড়াই তাঁহাদের স্থাপিত বাসভূমি এবং এই রােমরাম সিংহই বৰ্ত্তমান নাকাশিপাড়ার জমিদার-বংশের পূর্বপুরুষ। ইহারা সূৰ্য্যবংশসস্তুত সাবর্ণগোত্ৰীয় রাজপুত ক্ষত্ৰিয় জাতি। বঙ্গদেশে আসিয়া রামরাম সিংহ শৌৰ্য-বীৰ্য্য প্রভৃতি গুণে খুব প্ৰসিদ্ধি লাভ করেন। তাহার এক প্রপৌত্র আগম সিংহের শৌৰ্য-বীৰ্য্য-দর্শনে নদীয়ার মহারাজা এরূপ বিমুগ্ধ হন শে, তিনি তাহাকে সাদরে দেহরক্ষী পার্শ্বচর নিযুক্ত করেন। এই সময় ঠাইতেই বর্তমান নাকাশিপাড়ার জমিদারীর সৃষ্টি । উক্ত নদীয়ার মহারাজা কাযে। সন্তুষ্ট হইয়া কয়েকখানি মহাল তাহাকে উপঢৌকন দেন। তিনি তাহার ভ্ৰাতা ভৈরব সিংহকে এই মহালের ও অন্যান্য সম্পত্তির তত্ত্বাবধানের ভার অৰ্পণ করেন। তিনিও অসাধারণ ক্ষমতাবলে ও কাৰ্য্যনিপুণতায় ক্রমশঃ জমীদারীর উন্নতি সাধন করেন। এই সময় হইতেই তাহার ভাগ্যলক্ষ্মী সুপ্ৰসন্না হন । তাহার পর হইতেই ক্ৰমশঃ তিনি তাহার জমিদারি নদীয়া, যশোহর, খুলনা, বৰ্দ্ধমান ও মুর্শিদাবাদ এই পাঁচটি জেলায় বিস্তুত করেন। বঙ্গাব্দ ১১৯৮ সালে এই বিপুল জমিদারির সৃষ্টি । ইহাতে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, ইহার এখানে প্ৰায় ২০০ বৎসর কাল বংশ-পরম্পরায় বাস করিতেছেন । বঙ্গীয় ত্ৰয়োদশ শতাব্দীর মধ্যভাগেই এই জমিদারী সম্পূর্ণ বিস্তুত হয় ও এই জেলার মধ্যে ইহারাই অর্থের জন্য প্ৰসিদ্ধি লাভ করেন। এমন কি তৎকালীন বহু বড় বড় ধনী লোক এই নাকাশিপাড়া জমিদারের নিকট হইতে বহু অর্থ ধার করিতে আসিতেন। তৎকালীন এই নাকাশিপাড়া