পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় । ধনাগারই সর্বশ্রেষ্ঠ । তৎকালে তাহারা এ দেশে প্ৰসিদ্ধ ধনকুবের বলিয়া খ্যাতি লাভ করেন। কিন্তু কালের এমনই গতি যে, তখন হইতেই গৃহবিবাদ আরম্ভ হয়। এই সময়ই নাকাশিপাড়ার সুপ্ৰসিদ্ধ কেশববাবুর সময়। কেশববাবু বাঙ্গালাদেশের একজন সুপ্ৰসিদ্ধ ব্যক্তি। বাঙ্গালাদেশে আবালবুদ্ধ পৰ্য্যন্ত কেশব বাবুর নাম জানিত। তিনি একজন সুপ্ৰসিদ্ধ অশ্বারোহী বীরপুরুষ ছিলেন। তৎকালীন বিদ্রোহী পলাশী পরগণার সমুদয় মহাল তিনিই স্বয়ং দমন করিয়া এই দেশে শান্তি সংস্থাপন করেন। তাহার দুৰ্দমনায় প্ৰতাপে জজ, মাজিষ্ট্রেট পয্যন্ত ভয়ে সর্বদা সন্ত্রস্ত থাকিত । তাহার এ ক একটা আশ্চৰ্য্য লড়াইয়ের কথা আবাল-বৃদ্ধ পৰ্য্যন্ত জ্ঞাত ছিল এবং অদ্যাপি বুদ্ধদের মুখে তাহার অসাধারণ ক্ষমতার কথা শুনিতে পাওয়া যায় । তিনি গোড়া হিন্দু ছিলেন । তিনি প্ৰত্যহই আশ্বারোহণে ৫ মাইল পথ অতিক্রম করিয়া গঙ্গাসান করিতে যাইতেন । তিনি নিজ হস্তে প্ৰত্যহই গঙ্গাস্নানান্তর শিব পূজা করিতেন। চল্লিশ পঞ্চাশটী হাতী, এক শত অশ্ব ও তিনশত পালোয়ান তাহার সঙ্গে সর্বদা থাকিত । কলিকাতা হাইকোটের ভূতপূর্ব জজ দেওয়ান বাহাদুর স্বৰ্গীয় হরিনাথ রায় ও তাহার ভ্রাতা সবজজ স্বৰ্গীয় রায় বাহাদুর শ্যামচাদ রায় কেশব বাবুর দৌহিত্র । তাহারা শৈশবে এই নাকাশিপাড়াতেই, লালিত পালিত হয়েন । গৃহবিবাদের কথা পূর্বেই উল্লেখ করা হইয়াছে । বঙ্গাব্দ ১৮১৫ সালে এই বিপুল সম্পত্তি বিভক্ত হইয়া পড়ে এবং ১২৭৬ সালের মধ্যেই কেশব বাবুর খুল্লতাত-ভ্ৰাতা কেবলমাত্র ডোেমনবাবু ভিন্ন অন্যান্য সকল অংশীদার নিঃস্ব শুষ্টয়া পড়েন। ঠিক এই সময়েই এই ডোেমনবাবু অকালে কালগ্ৰাসে পতিত হয়েন । তদীয় নাবালক পুত্ৰ কৃষ্ণনাথ সিংহরায় স্বৰ্গীয় ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর মহাশয় ও কাশিমবাজারের স্বৰ্গীয়া মহারাণী স্বর্ণময়ীর সহায়তায় ও পরামর্শে তাহার সম্পত্তির সুবন্দোবস্ত করিতে প্ৰয়াস পান । কৃষ্ণনাথ সিংহ রায় কৃষ্ণনগর কলেজে শিক্ষাপ্রাপ্ত হয়েন। হিন্দুধৰ্ম্মে তাহার প্রগাঢ় ভক্তি