পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌদ্দারশীর জমিদার বংশ। ফরিদপুর জিলার অন্তর্গত সহর হইতে ২৩ মাইল পূর্বদিকে একটা পুলিশ ষ্টেশন, ষ্টেশনের নাম সদরপুর ; সদরপুর ষ্টেশন, সতররশী গ্রামের উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। ঐ ষ্টেশনের সন্নিকটে দক্ষিণ দিকে পোষ্টাফিস, থানার উত্তর দিকে সাহার বন্দর নামে বহুকালের একটা বন্দর, বন্দরটীির ধ্বংসাবশেষ এখনও বর্তমান আছে। ঐ বন্দরের উত্তরভাগে ভুবনেশ্বর নদ এককালে প্ৰবল ভাবে প্ৰবাহিত ছিল । এক সময়ে ফরিদপুর যাইবার ষ্টীমার লাইনের ঐ স্থানে একটি ঘাট ছিল, ভুবনেশ্বর কালে যখন রীতিমত প্ৰবাহিত ছিল তখন নানা স্থান হইতে বিবিধ প্ৰকার জিনিষপত্ৰ নৌকাযোগে আমদানী রপ্তানী হইত, কিন্তু কালক্ৰমে ভুবনেশ্বর মজিয়া যাওয়ায় এখন আর ঐ অঞ্চলের সমৃদ্ধি নাই । যে নদ ভুবনেশ্বর কোন কালে মৎস্য কুম্ভীর ইত্যাদি জলজন্তু দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল, আজ তাহার বক্ষে স্তানে স্থানে বিশাল চর পড়িয়া শস্য পূর্ণ চাষের জমি হইয়াছে। এখনও জ্যৈষ্ঠ হইতে কাৰ্ত্তিক মাস পৰ্য্যন্ত নৌকা চলাচল হয়, কিন্তু তারপর জলাভাবে আর ঐ রূপ সম্ভব হয় না ; ভুবনেশ্বরের এই শোচনীয় পরিবর্তনে দেশের অনেক প্ৰকার অসুবিধা সংঘটিত হইয়াছে। উক্ত গান ও বন্দরের পশ্চিম দিক দিয়া একটী রাস্তা পুখরিয়া পৰ্যন্ত যাইয়া ভাঙ্গা ষ্টেশন হইতে ফরিদপুরের বড় রাস্তার সহিত মিলিত হইয়াছে । সতেররণী গ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিমে চােররশী, সতের রশী আটরশী, আড়াইরশী সাড়োসাতরশী প্ৰভৃতি কয়েকটী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্ৰাম । তাহার পশ্চিমে বাইশরাশী থানার পশ্চিম দিয়া রাস্তাটিী। ঐ সকল গ্রামের প্ৰান্ত ও মধ্য দিয়া পশ্চিমাভিমুখে চলিয়া গিয়াছে। থানা হইতে ১ মাইল