পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(8 ংশ পরিচয় । বড়ই উদ্বিগ্ন ছিলাম।” উদ্ধব চন্দ্ৰ সাষ্টাঙ্গে প্ৰণাম করিয়া বলিলেন, “দেব । পিতাঠাকুর এই মাত্ৰ হাটে গিয়াছেন, তঁহার জন্যই আমার আসিতে এত বিলম্ব হইয়াছে।” এই কথার পর সন্ন্যাসী বলিলেন “তোমার আসিবার পূর্বেই আমি তোমার এদিকের কাজ সমস্ত ঠিক করিয়া রাখিয়াছি, তুমি আমার পাশে এসে বসে, শুভক্ষণে তোমাকে মন্ত্র প্রদান করিব।” উদ্ধব চন্দ্ৰ ধীর পদবিক্ষেপে যাইয়া সন্ন্যাসীর পাৰ্থে বসিলেন এবং সন্ন্যাসী শুভযোগে উদ্ধবের কৰ্ণমূলে বীজ মন্ত্ৰ প্ৰদান করিলেন । সন্ন্যাসী এই উর্বর ভূমিতে বীজ রোপণ করিয়া কতক্ষণ ধ্যানে মগ্ন থাকিয়া পরে উদ্ধবকে তঁহার কৰ্ত্তব্য বিষয় নিৰ্দ্ধারণ করিয়া সব বিষয় বিশদভাবে বুঝাইয়া দিয়া বলিলেন “তুমি এই মন্ত্র স্মরণ রাখিতে বিশেষ সাবধান হইবে, যেন কোন মতে বিস্মরণ না হও, আমি এখানে বেশীক্ষণ থাকিতে পারিব না । আমি তোমাকে যে উপদেশ দিয়া যাইতেছি, তাহা উপযুক্তভাবে প্রতিপালন করিয়া কাজ করিতে পারিলে তুমি বিশেষ ক্ষমতা লাভ করিতে পরিবে । আজ হইতে তুমি ঐহিক, পারমার্থিক যে কোন বিষয়ে যত্ন করিবে তাহাই ভগবান কৃপায় তোমার সিদ্ধ হইবে । তুমি মুখে যাহা বলিবে তাহাই ঠিক হইবে। এমন কি পশু, পক্ষী, প্রভৃতি জীব জন্তুও তোমার কথা মানিবে, মানুষ কোন ছর।” এই বলিয়া সন্ন্যাসী একটী কমণ্ডলু দিয়া উদ্ধবকে বলিলেন “বাবা এই নদী হইতে এক কমণ্ডলু জল আন ৷” উদ্ধব বলিলেন, “গুরুদেব ! পিতাঠাকুর আমাকে নদীতে যাইতে নিষেধ করিয়াছেন, কেননা এখানে নদীতে ভয়ানক কুম্ভীরের ভয় ।” সন্ন্যাসী বলিলেন, “যাও বাবা ! কোন ভয় নাই । কুম্ভীর দেখিলে সরিয়া যাইতে বলিও ।” উদ্ধাব গুরুবলে বলীয়ান ও সাহসী হইয়া জল লইয়া গুরুদেবের নিকট আসিলেন। সেই জল দ্বারা উদ্ধবকে মুক্তি স্নান করাইয়া দিয়া নানারূপ আশীৰ্ব্বাদ করিয়া তিনি বলিলেন, “বাবা ! উদ্ধব ! নিতান্ত ভাগ্য প্ৰসন্ন ।