পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

p8 ংশ পরিচয় । করিয়াছ ষে আমাকে এত দিন বল নাই ?” উদ্ধব কান্দিতে কান্দিতে, বলিলেন “বাবা ! আমায় ক্ষমা করিবেন, সন্ন্যাসী ঠাকুর আমাকে. আপনার নিকট বলিতে নিষেধ করিয়াছিলেন বলিয়া আমি বলি নাই।” ” তখন সাহাজী মহাশয় মিষ্টবাক্যে উদ্ধবকে বলিলেন, “বাবা উদ্ধব । তোমার কোন ভয় নাই, তুমি আমার নিকট সমস্ত খুলিয়া বল |” উদ্ধব ক্ষণকাল পরে ধীরে ধীরে বলিলেন “বাবা ! সন্ন্যাসী ঠাকুর আমাকে দীক্ষা মন্ত্র দিয়াছিলেন, ঐ মন্ত্ৰটী ভুলিয়া গিয়া আমার এই দশা হইয়াছে।” শুনিয়া সাহাজী চমকিত হইয়া বলিলেন “এতদিন আমাকে একথা বলা নাই কেন ?” উদ্ধব বলিলেন, “আপনাকে বলিলে আপনি কি করিতেন ; সেই সন্ন্যাসী ভিন্ন আর কেহ আমার এ ব্যাধি আরোগ্য করিতে পরিবেন। না।” “উদ্ধব, সন্ন্যাসী তোমাকে মন্ত্ৰ দিয়া আর কিছু বলিয়াছিলেন কি ?” তিনি কোথায় থাকেন, তঁাহার নাম কি ? এসব কিছু জানিতে পারিয়াছ কি ?” উদ্ধব বলিলেন, “এসব কথা জিজ্ঞাসা করিবার পূৰ্ব্বে গুরুদেব আমাকে মন্ত্র দান করিয়া বলিয়াছিলেন “তুমি সাবধানে এই মন্ত্র স্মরণ রাখিতে যত্ন করিও, মন্ত্র ভুলিলে বিষম বিপদে পড়িবে; আমার থাকার কোন নির্দিষ্ট স্থান নাই ; আমার সহিত তোমার সাক্ষাৎ হওয়া অসম্ভব ; তবে তুমি কোন বিপদে পড়িলে আমাকে স্মরণ করিও, তাহা হইলে ষে কোন ভাবে বিপদের প্রতিকার হইবে।” মহাত্মা মহাপুরুষদের বাক্য কখন মিথ্যা হয় না ; এই বিশ্বাসে সাহাজীর নিরাশ প্ৰাণে' আশার সঞ্চার হইল, এক্ষেত্রে তিনি কায়মনোবাক্যে র্তাহাকে স্মরণ করাই এক মাত্র সার চেষ্টা স্থির করিয়া কিছুক্ষণ কি চিন্তা করিলেন । সাহাজী মহাশয় সারাদিন অনাহারে থাকেন এবং ছেলের অসুখ ভাল ন হইলে খাইব না-সঙ্কল্প করিয়া সন্ন্যাসী ঠাকুরের উদ্দেশে প্ৰণাম করিয়া প্ৰথমত নতজানু হইয়া পরে ক্ৰমে সাষ্টাঙ্গে ধরায় লুটাইয়া পড়িলেন। তৎপরে কৃতসঙ্কল্প হইয়া উদ্ধকে বলিলেন “বাবা ! উদ্ধক