বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৌদ্দর শীর জমিদার বংশ । VoE) প্ৰতি কোনরূপ অনিষ্ট করিও না।” এই কথা অনেকেই গল্প বলিয়া মনে করিতে পারেন, বাস্তবিক তাহা নহে, কথাটী সম্পূর্ণ সত্য | দৈবশক্তি সম্পন্ন লোকের পক্ষে অসম্ভব কিছুই নয়। তাহার পর হইতে জঙ্গল আবাদ আরম্ভ হইল ; প্ৰকৃত প্ৰস্তাবে সেই জঙ্গল মধ্যে ঐ সকল হিংস্ৰ জন্তু আর দেখা গেলনা ; ক্ৰমে লোকের উৎসাহ ও সাহস দিন দিন বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। প্ৰথম বৎসর বহু জমির জঙ্গল মারিয়া চাষাবাদ হইলে যথা সময় ঈশ্বরের কৃপায় প্রচুর পরিমাণ ধান্য হইল। শস্যের অবস্থা দেখিয়া কৃষকগণ বিশেষ উৎসাহিত হইল। যাহাদের দূরে বাড়ী ছিল তাহারা আবাদের সুবিধার জন্য ক্ৰমে আসিয়া ঐস্থানে উপনিবেশ স্থাপন করিতে লাগিল । কালক্রমে তাহারা ঐ স্থানের বাসিন্দা হইয়াছে। জমি আবাদ করিয়া তিন বৎসর। পৰ্য্যন্ত উৎপন্ন শস্ত কৃষকগণ বিনা করে ভোগ করিলে পর উদ্ধবচন্দ্ৰ ইচ্ছানুসারে ঐ সমস্ত জমি বন্দোবস্ত করিলেন । প্ৰথম বৎসরের আবাদের কথা শুনিয়া নানা স্থান হইতে বহুলোক আসিয়া জমি আবাদ করিবার জন্য ব্যগ্ৰ হইল । লোকজন সাহ উদ্ধব জঙ্গলে গিয়া নিশান পুতিয়া জমি চিহ্নিত করিয়া দিয়া ঘরে ফিরিলেন ; কৃষকগণ বিশেষ উদ্যমের সহিত আবাদ আরম্ভ করিল ভগবানের কৃপায় এবৎসরও বিশেষ রকম শস্য জন্মিল দেখিয়া বহুদূর হইতে লোক আসিয়া স্থানে স্থানে ঘরবাড়ী প্ৰস্তুত করিয়া আবাদে প্ৰবৃত্ত হইল। এই ভাবে ১০/১২ বৎসরে প্রায় লক্ষাধিক বিঘা জমি আবাদ হইল । অবস্থার পরিবর্তনে এখন আর জঙ্গল নাই, এখন সে স্থানে বহু লোকের বসতি হইয়াছে। মালিকগণের সহিত আমলনামার চুক্তি অনুসারে ক্রমে অনেক জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত হইতে লাগিল । উদ্ধাব সত্যের অপলাপ করিয়া কাহাকেও বঞ্চনা