বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বংশ-পরিচয় (ষষ্ঠ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e বংশ পরিচয় । করিবেন। এরূপ প্ৰকৃতির লোক ছিলেন না বলিয়া লোকে তঁহাকে বিশ্বাস কিরিত এবং তঁহার মুখের কথায় ও ব্যবহারে সকলেই বাধ্য থাকিত । এদিকে আবাদী ভূমি প্ৰজাদিগের সহিত ক্ৰমান্বয়ে যেমন বন্দোবস্ত হইয়া কর ধাৰ্য্য হইতে লাগিল, অমনি আদায় তাহশীলের জন্য কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত করিয়া সুবিধার্থে স্থানে স্থানে কাছারী বাড়ী প্ৰস্তুত করিয়া দিতে লাগিলেন । ক্রমে তিনি একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি হইলেন । নিজ খামারের জমি হইতে প্ৰতি বৎসর প্রচুর পরিমাণ ধান্য আনিয়া গোলাজাত করিতে লাগিলেন । প্ৰজারাও সন সন যথা সময়ে খাজানা দিতে লাগিল ; কাজ কৰ্ম্ম উভয় দিকেই সুবন্দোবস্ত হইল । উদ্ধবের প্রতিভা ও প্ৰতিপত্তিতে দেশময় একটা যশের বাতাস বহিল, বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। উদ্ধব তখন ও দেশের রাজা । কোন স্থানে কোন প্ৰকার গোলমাল নাই, নিজের তত্ত্বাবধানে সব চলিতে লাগিল । তৎপরে তার সন্ন্যাসী প্ৰদত্ত সম্পত্তিতে ক্ৰমেই উন্নতি, উদ্ধবের নাম করিয়া ষে যাহা মানস করে তাহাই সিদ্ধ হয়, কত শত ব্যাধিগ্ৰস্থ বিপন্ন ব্যক্তি তাহার কৃপায় মুক্তি লাভ করিয়াছে, তাহা বলিয়া শেষ করা অসাধ্য। লোকের কামনা সিদ্ধি হইলে যে যাহা মানস করিত তাহা আনিয়া সাহাজীকে দিয়া যাইত | প্ৰতিদিন নানা স্থান হইতে এই প্ৰকার কত হাজত আসিত তাহার সীমা নাই । মানসিক হাজত আসিলে তাহা উদ্ধব ব্ৰাহ্মণকে দান করিতেন, নিজে কিছু গ্ৰহণ করিতেন না । হাজত সম্বন্ধে সেই সময়ই ভ্ৰাতাগণের নিকট বলিয়া রাখিলেন, আমি অভাবে আমার নাম করিয়া কোন লোক হাজত দিলে তাহ সমুদয়ই ব্ৰাহ্মণদিগকে দিতে হইবে, শূদ্রে বা অন্য জাতিতে এবং আমাদের বংশের কেহ ইহা কোন কালেই গ্ৰহণ করিতে পরিবে না । সেই নিয়ম,