চৌদর শীর জমিদার বংশ । ዓS» অস্থাপিও চলিতেছে। উদ্ধব। একজন স্বাৰ্থত্যাগী পরোপকারী লোক ছিলেন, সেই জন্য সাধারণের চক্ষে তিনি দেব তুল্য: লোক হইলেন। তিনি নানা প্রকার সদগুণ বিশিষ্ট লোক বলিয়াই তঁহার প্রতি জন সাধারণের হৃদয়ের টান ছিল, তাই তিনি জমিদারদিগের চেয়ে বহুগুণে শ্রেষ্ঠ ছিলেন। জমিদারগণ নিজ নিজএলাকার প্রজার উপর আধিপত্য করেন বটে, কিন্তু উদ্ধবচন্দ্ৰ লোক, নির্বিশেষে সকলের উপরই নিজগুণে এই বিপুল আধিপত্য বিস্তারু, করিয়াছিলেন । লোকের অবস্থার সঙ্গে সঙ্গে সকল দিকের ব্যবস্থাই হইয়া থাকে, উদ্ধব চন্দ্রের দেশের বাড়ী ঘর উপযুক্ত মতই হইয়াছে, উদ্ধবের পিতা। সাহাজী মহাশয় এই সময় মধ্যে উদ্ধবের কনিষ্ঠত্ৰয়ের শুভপরিণয়কাৰ্য্য যথাসময়ে অতি আমোদ আহলাদের সহিত সম্পন্ন করিয়াছেন । সাহাজী মহাশয় এখন বাড়ীতে থাকিয়া ছেলেদের ছেলে মেয়ে পুত্রবধূগণ সহ সর্বদা সুখ শাস্তিতে কালব্যাপন করিতে লাগিলেন। এই ভাকেঅনেক দিন কাটিয়া গেল, তৎপর সাহাজী মহাশয় ব্যাধিগ্ৰস্থ হইয়া পুত্ৰ দিগকে বাড়ীতে আনাইলেন । সহাজী মহাশয় আসন্নকাল সমাগতপ্রায় বুঝিতে পারিয়া পুত্রদিগকে ডাকিয়া একদিন অনেক কথা বলিয়া, নানা প্রকার উপদেশ দিয়া পুত্ৰ উদ্ধবের হস্তে ছোট ভাইদের দিয়া বলিলেন, তুমি ইহাদের বড়,তোমার হাতে ইহাদের সমর্পণ করিলাম, ঘর বাড়ী বিষয় সম্পত্তি সমস্তই তোমার করে অৰ্পণ করিলাম। সাবধান যেন আমার শাস্তির ঘরে অশান্তি প্ৰবেশ না করে । আমি অভাবেমাতৃআজ্ঞানুসারে কাৰ্য্য করিবে । কয়েকদিন পরে তিনি পরলোক গমন, করিলেন। চারি ভাই উৎসাহের সহিত উপযুক্ত ব্যয় করিয়া পিতৃদেবের ঔদ্ধ দৈহিক কাৰ্য্য সম্পন্ন করিলেন। উদ্ধব বহুদিন পূর্ব হইতেই ংসারের গুরু ভার গ্ৰহণ করিয়াছিলেন সুতরাং পিতা অভাবে সে ভারু,
