পাতা:বক্সা ক্যাম্প.djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 ঝাঁকা—মাথায় বাচ্চুসহ ঐ পোষাকে ডাণ্ডা হাতে সাহেবের ঘরে প্রবেশ করলাম। দেখে তিনি চমৎকত হলেন, অর্থাৎ ভয়ে একটু চমকে উঠলেন।

 মুখে বললেন, “কি, ব্যাপার কি মিঃ দাশগুপ্ত? এ সব কি?”

 —“বলছি ধৈর্য ধারণ কর,” বলে আসন গ্রহণ করলাম। বাচ্চুকে বললাম, “ঝাঁকাটা চেয়ারের কাছে রেখে তুই বাইরে যা।”

 তারপর আরম্ভ করলাম, “হে সাহেব, তুমি ক্ষুর ভিতরে দিতে পার না কারণ উহা মারাত্মক অস্ত্র। তুমি স্টীক ভিতরে দিতে পার না, পাছে ঐ অস্ত্র সাহায্যে আমরা তোমাকে বা তোমার অফিসারদের লাঠিপেটা করি। বেশ—”

 তারপর ঝাঁকা হতে ছোট-বড় গুটি পাঁচেক পাথরের খণ্ড তুলে নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “ইহা কি বস্তু তাহা কি তুমি জান?”

 —“পাথর বলে মনে হচ্ছে।”

 —“ঠিকই মনে হচ্ছে। কোথায় পাওয়া যায় বলতে পার?”

 —“এ তো পাহাড়ের সর্বত্র পাওয়া যায়।”

 —“উত্তম। ক্যাম্পের ভিতর পাওয়া যায়?—উত্তর দেও।”

 মাথা নেড়ে বললেন,—“যায়।”

 তারপর বড় পাথরটা দেখিয়ে বললাম, “এটা যদি ছুঁড়ে মারি এবং তা যদি তোমার মাথায় লাগে, তবে কি হয় বলতে পার?”

 সাহেব বোকার মত তাকিয়ে রইলেন।

 আমি বলে চললাম, “নাকে লাগলে নাক ভোঁতা হবে, রক্ত বন্ধ হবার আগেই তুমি শমন-সদনে প্রেরিত হবে। মাথায় লাগলেও ঐ একই পরিণাম।”

 এইভাবে একটির পর একটি ক’রে সাহেবকে বস্তুপরিচয় শিক্ষা দিয়ে চললাম, বস্তুবিজ্ঞানও বলতে পারেন।

 বল্লাম, “দেখ, এই ছুরি দিয়ে আমরা মুরগী জবাই ক’রে থাকি। এই মুরগীকাটা ছুরি দিয়ে তোমাকেও জবাই করা চলে কিনা, বল? এর নাম

১০৪