পাতা:বক্সা ক্যাম্প.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

করতে শুরু করেছিল। খেয়ে দেয়েই বেরিয়ে পড়তুম, হোটেলে ফিরতে রোজই একটু রাত হোত। উড়ে চাকরটাকে ক’ বাক্স যে গোল্ডফ্লেক সিগারেট ঘুষ দিয়েছি, এলে শব্দ না করে যেন দরজাটা খুলে দেয়। বিশ্বেস করবেন না, শালা জগরনাথ পাঁকে পড়েছি জেনে চাপ দিয়ে সিল্কের পাঞ্জাবীটাই মশায় একদিন আদায় করে নিল।” বলিয়া সিগারেটে এমন অগস্ত্য টানই ওস্তাদ দিল যে, মাথার আগুন গোড়ার নামাইয়া আনিল।

 পাঞ্জাবীর শোকটা ধোঁয়ার সঙ্গে বাহিরে উড়াইয়া দিয়া ওস্তাদ বলিয়া চলিল, “রাত তখন একটা হবে, ফিরে এসে জানালার নীচে দাঁড়িয়ে আস্তে ডাকলাম, এই মাগুনি দোর খোল। ব্যাটা জেগেই ছিল, ঝাড়া আধঘণ্ট। দরজায় দাঁড় করিয়ে রাখল। তারপর উঠে এসে এমন শব্দ করে দরজা খুল্ল যে, ভয় পেয়ে বল্লাম, এই আস্তে, জেগে উঠবে।” বলিয়া পূর্ববৎ সিগারেটে মরীয়া হইয়া টান দিল।

 পরে বলিয়া চলিল, “আর জেগে উঠবে! জেগে উঠেই তো ছিল, দোতালার বারান্দা হতে আওয়াজ এল, কে এলরে মাগুনি?

 মাগুনি ঊর্ধমুখে জবাব দিল, “দাদাবাবু আইল।”

 উপর হতে ফের আওয়াজ এল, গুয়োর ব্যাটাকে জিজ্ঞেস কর যে, এটা কি রাঁড়ের বাড়ি পেয়েছে যে, যখন আসবে, তখনই দরজা খুলবে?”

 এই পর্যন্ত আসিয়া অমর চ্যাটার্জি শ্রোতৃমণ্ডলীর নিকট আবেদনের সুরে পেশ করিল, “ব্যাটাচ্ছেলের কথা শুনলেন? বলে নাকি রাঁড়ের বাড়ি পেয়েছ? না, এমন বাড়িতে আর থাকব না, ঠিক করেই ফেল্লাম।”


 অতঃপর ওস্তাদ তার প্ল্যান ও তার ফলাফল বর্ণনা করিয়া চলিল, “বাড়িউলী মানে গর্ভধারিণী জননী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে আনতে দেয়, খরচার জন্য পঞ্চাশ তুলতে হবে। পঞ্চাশের আগে সাত বসিয়ে নিয়ে এলুম সাড়ে সাতশ, পঞ্চাশ দিয়ে হাতে রইল সাতশ। সেদিনেই চলে এলাম

১১২