কবিগুরু প্রত্যুত্তরে জানাইলেন—
“প্রত্যভিনন্দন
(বক্সা-দুর্গের রাজবন্দীদের প্রতি)
নিশীথেরে লজ্জা দিল অন্ধকারে রবির বন্দন।
পিঞ্জরে বিহঙ্গ বাঁধা, সঙ্গীত না মানিল বন্ধন।
ফোয়ারার রন্ধ্র হোতে
উন্মুখর ঊর্দ্ধস্রোতে
বন্দীবারি উচ্চারিল আলোকের কী অভিনন্দন।
মৃত্তিকার ভিত্তিভেদি অঙ্কুর আকাশে দিল আনি
স্বসমুত্থ শক্তি বলে গভীর মুক্তির মন্ত্রবাণী।
মতাক্ষণে রুদ্রাণীর
কী বর লভিল বীর,
মৃত্যু দিয়ে বিরচিল অমর্ত নরের রাজধানী।
‘অমৃতেব পুত্র মোরা’ কাহারা শুনালো বিশ্বময়।
আত্মবিসর্জন করি আত্মারে কে জানিল অক্ষয়!
ভৈরবের আনন্দেরে
দুঃখেতে জিনিল কেরে,
বন্দীর শৃঙ্খলচ্ছন্দে মুক্তের কে দিল পরিচয়।
কবিগুরু এই প্রত্যভিনন্দন যত সাময়িক কালের জন্যই হউক, বন্দিদের একটু বিশেষভাবে আত্মসচেতন করিয়া তুলিয়াছিল, এইটুকু আমার মনে আছে। আমার নিজের কথা পূর্বেই একটু ব্যক্ত হইয়াছে। আমার লেখা কবিগুরুকে
১৫৩