পাতা:বক্সা ক্যাম্প.djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 প্রশ্ন হইল, “চিঠি? কাকে?”

 —“মাস্টার মশায়কে।”

 প্রশ্নের পর প্রশ্ন করিয়া এই গোপন বৈঠকের সদস্যগণ আমার প্ল্যানটি নিজেদের কাছে পরিষ্কার করিয়া লইলেন এবং রিভোল্ট পার্টির হাইকমাণ্ড আমার প্ল্যান অনুমোদন করিলেন।

 কাগজকলম আসিল। পঞ্চাননবাবুর নামে মাস্টার মশায়ের কাছে এক লাইনের একটি চিঠি গেল, “প্রয়োজন হইলে আমার ও আমার বন্ধুদের হইয়া আপনি কথা বলিতে ও দিতে পারেন।”

 তখনই অফিস-আর্দালী নীলাদ্রিকে ডাকাইয়া আনা হইল। তাহাকে যথাযোগ্য উপদেশ ও এক প্যাকেট সিগারেট দেওয়া হইল। পত্রখানা লইয়া নীলাদ্রি চলিয়া গেল। দশজনকে লইয়া সেনগুপ্ত আলাপে মগ্ন, নীলাদ্রি গিয়া চিঠিখানা মাস্টার মশায়ের হস্তে প্রদান করিল।

 যাহা ভাবা গিয়াছিল, তাহাই ঘটিল। চিঠিটি সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করিল। চিঠির বক্তব্যও মাস্টার মশায় বৈঠকে ব্যক্ত করিয়া দিলেন। ফলে মৌচাকে ঢিল পড়িল।

 মাস্টার মশায় বলিলেন, “পঞ্চাননবাবুকে ডেকে পাঠান।”

 যুগান্তর ও অনুশীলন দুই পক্ষই প্রতিবাদ করিলেন, “না, তাহাকে ডাকা চলে না। যে একদিন আমাদেরই ভলাণ্টিয়ার ছিল, তাহার সঙ্গে একত্র এই আলোচনা চলিতে পারে না।”

 মাস্টার মশায়ও সোজা জানাইয়া দিলেন, “পঞ্চাননবাবুকে ডাকা না হলে এ আলোচনাতে আমি যোগ দেব না।”

 অবস্থাটা বেশ ঘোরালো হইয়া উঠিল এবং সেনগুপ্ত সমস্যায় নিপতিত হইলেন। বৈঠকের আলোচনা সেদিন শেষ হইল না। রাত্রি গোটা নয়েকের সময় সিপাহীদের তত্ত্বাবধানে নেতৃবর্গ ক্যাম্পে ফিরিয়া আসিলেন।

 পরদিবস ভোরে আবার নেতৃবর্গের ডাক আসিল, তাঁহারা পূর্বস্থানে পূর্ববৎ

২১৪