এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পড়িলাম। পুলও পার হইয়া পোষ্টাফিসের সম্মুখে আসিলাম। এখন পথের বাঁক ঘুরিতে হইবে।
কানে আসিল মণি লাহিড়ী রুণুবাবুকে বলিতেছেন, “ও প্রভু, এ কেমন হোলো, বক্সা-ক্যাম্পের জন্য মনটা যে কেমন করছে।”
প্রভু উত্তর দিলেন, “বৎস একেই বলে মায়া, ওরকম হয়েই থাকে। নেও, মন খারাপ করো না। সামনে চল—”
ফিরিয়া দাঁড়াইলাম, শেষবারের মত দেখিবার জন্য। জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়ের এতগুলি দিনরাত্রি ওখানে রাখিয়া আসিয়াছি। আমারই অস্তিত্বের একটা অশরীরী-অংশ ওখানে হিমালয়ের পাষাণকোলে চিরকালের জন্য অহল্যার মত আবদ্ধ হইয়া রহিল।
বছর দেড়েক পূর্বে এক মধ্যাহ্নে বক্সা-দুর্গের তোরণদ্বারে আসিয়া দাঁড়াইয়াছিলাম। আজ তেমনি আর এক মধ্যাহ্নে তাহাকে ছাড়িয়া আসিলাম।
পথের মোড় ফিরিতেই বক্সা-ক্যাম্প পাহাড়ের আড়ালে অদৃশ্য হইল।
সমাপ্ত