পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وتجه ش= |=hكfas 에어 প্রথম পরিচ্ছেদ কুল্সম্ “ন, চিড়িয়া নাচিৰে ন । তুই এখন তোর গল্প 33 | দলনী বেগম এই বলিয়, যে ময়ূরট নাচিল না, তাহার পুচ্চ ধরিয়া টানিল । আপনার হস্তের হীরক জড়িত বলয় খুলিয়া আর একটা ময়ূরের গলায় পরাইয়। দিল । একটা মুখর কাকাতুয়ার মুখে চোখে গোলাবের পিচকারী দিল । কাকাতুয়া ‘বাদী’ বলিয়া গালি দিল । এ গালি দলনী স্বয়ং কাকাতুয়াকে শিখাইয়াছিল । নিকটে এক জন পরিচারিক পক্ষাদিগকে নাচাইবার চেষ্টা দেখিতেছিল, তাহাকেই দলনী বলিল, “এখন তোর গল্প বল্‌ ৷” কুলসমৃ কহিল, “গল্প আর কি ? হাতিয়ারবোঝাই দুইখানি কিস্তি ঘাটে আসিয়া পৌঁছিয়াছে । তাতে এক জন ইংরেজ চড়ন্দার : সেই দুই কিস্তি আটক হইয়াছে । আলি ইব্রাহিম গ। বলেন যে, 'নৌকা ছাড়িয়া দাও, উহা আটক করিলেই খামক৷ ইংরেজের সঙ্গে লড়াই বাধিবে । গুরুগম্‌ ৰ্থ বলেন, ‘লড়াই বাধে বাধক, নৌকা ছাড়িব না ।” দ । হাতিয়ার কোথায় যাইতেছে ? কু। আজিমাবাদের কুঠতে যাইতেছে । লড়াই বাধে ত আগে সেইখানে বাধিবে । সেখান হইতে ইংরেজের। হঠাৎ বেদখল ন হয় বলিয়া সেথ। হাতিয়ার পাঠাইতেছে । এই কথা ত কেল্লার মধ্যে রাষ্ট । দ। ত গুরগন্‌ গ৷ আটক করিতে চাহে কেন ? কু। বলে, সেখানে এত হাতিয়ার জমিলে লড়াই ফতে কর। ভার হইবে । শক্রকে বাড়িতে দেওয়া ভাল নহে । আলি ইব্রাহিম | বলেন যে, আমরা যাহাই করি না কেন, ইংরেজকে লড়াইয়ে কথন জিতিতে পারিব না । অতএব আমাদের লড়াই না

  • পাটন! |

করাই স্থির । তবে নৌক আটক করিয়া কেন লড়াই বাধাই ? ফলে সে সত্য কথা । ইংরেজের হাতে রক্ষা নাই । বুঝি নবাব সিরাজ উদ্দৌলার কাও আবার ঘটে ! - দলনা অনেকক্ষণ চিন্তিত হইয়। রহিল । পরে কহিল, “কুলুসমৃ, তুই একটি দুঃসাহসের কাজ করতে পারিস ?” কু। কি ? ইলিস মাছ খেতে হবে, না ঠাণ্ড৷ জলে নাইতে হবে ? দ। দূর । তা মাস। নহে । টের পেলে পর আলিজা তোকে আমাকে হাতীর দুই পায়ের তলে ফেলে দিবেন । কু। টের পেলে ত ? এত আতর-গোলাব, সোনারূপ। চুরি করিলাম, কৈ, কেহ ত টের পেলে ন। । আমার মনে বোধ হয়, পুরুষমানুষের চক্ষু কেবল মাথার শোভার্থ—তাহাতে দেখিতে পায় না । কৈ, পুরুষে মেয়েমানুষের চাতুরী কখন টের পায়, এমন ত দেখিলাম না । দ। দূর ! আমি খোজ খানসামাদের কথা বলি না । নবাব আলিজা অন্য পুরুষের মত নহেন, তিনি না জানিতে পারেন কি ? কু । আমি না লুকাইতে পারি কি ? কি করিতে হইবে । দ। একবার গুরুগন পার কাছে একখানি পত্র পাঠাইতে হুইবে ? কুলুসমৃ বিস্ময়ে নীরব হইল। দলনী জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি বলিস্ ?” কু। পত্র কে দিবে ? দ । আমি ! কু। সে কি ? তুমি কি পাগল হইয়াছ ? দ । প্রায় । উভয়ে নীরব হইয়া বসিয়৷ রহিল । তাহাদিগকে নীরব দেখিয়! ময়ুর দুইটা আপন আপন বাসযষ্টিতে আরোহণ করিল। কাকাতুয়া অনর্থক চীৎকার করিল। অন্তান্ত পক্ষীরা আহারে মন দল ।