পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণকাস্তের উইল তমুবার কান মুচড়াইতেছে --কাছে বসিয়৷ এক স্বতী ঠিং ঠিং করিয়া একটু তবলায় ঘ দিতেছে—সঙ্গে সঙ্গে হাতে স্বর্ণালঙ্কার ঝিন্‌ ঝিন্‌ করিয়া বাজিতেছে—পাশ্বস্ত প্রাচীরবিলম্বী দুইখানি বৃহৎ দর্পণে উভয়ের ছায়াও ঐপি করিতেছিল। পাশের ঘরে বসিধু এক জন যবাপুরুষ নভৈল পড়ি আছেন এপ মধ্যস্থ মুক্ত দ্বারপগে যুবতীর কার্য দেখিতেছেন । তসুরার কান মুচড়াইতে মুচড়াইতে দাড়াধারা তাহার তীরে অঙ্গুলি দিতেছিল ; যখন তারের মেও মেও আর তবলপ খান থামৃ ওস্তাদজীর বিবেচনায়ু এক হইল। মিলিল—তখন , তিনি লেস্ট গু"ফৰ্ম্মশ্রুর অন্ধকারমণ ইষ্ট:ত ক তক গুলি তুষারণবল দস্ত বিনি গত করিয়৷ বৃধ গুল্লভ কণ্ঠরব বাহির করিতে আরম্ভ করিলেন । রব নির্গত করিতে করিতে সে তুষারপবল দস্তগুলি বহুদি। খিচুনিতে পরিণত হইতে লাগিল এবং BBBBB KBBB KBB BBBBB BBBS BB প্রকার রঙ্গ করিতে লাগিল । তখন ঘূর তা খিচুনি সন্তাড়িত ঠক্টর। সষ্ট বৃষভজুল ভ ব্লবের সঙ্গে আপনার কোমলকণ্ঠ মিলাই ৷ তারস্থ করিল—তাহাতে সরু মোট অঃ ৪ল্লাঙ্গে সোনালি রূপ লি রকম এক প্রকার গ্রাহ কষ্টতে লাগিল । এঈথানে ঘবলিক প তন করিতে ইচ্ছ। হয় । বাহ অপবিত্র, তাদর্শনীয়, তাক আমির। দেখাইব ন। -- বাঙ্গ নি তfস্ত ম| ললিল নয়, তাতাই বলিব ! কিন্তু তথাপি সেই অশোক বকুল-কুটজ কুরুবক-কুঞ্জমধ্যে ভ্রমর গুঞ্চন, ককিল-কৃজন, সেই ক্ষুদ্র নদণতরঙ্গচালিত রাণহাসের কলনাদ পি. পাতি, মল্লিক। মধুমালতী প্রভৃতি কুসুমব সৌরভ, সেই গৃহমদে। নীলকাচপ্রবিষ্ট বেীদের অপূৰ্ব্ব মধুবা, সেই রজতষ্ফটিকাদিনিৰ্ম্মিত পুষ্প ধারে- সুবিন্যস্ত কুসুমগুচ্ছের শোভা, সেই গৃহ শোভাকর দ্রবাজাতের বিচিত্র উজ্জল বণ, আর গায়কের বিশুদ্ধ স্বরসপ্তকের ভূয়সী স্পষ্ট, এই সকলের ক্ষণিক উল্লেখ করিলাম । কেন না, যে যুবক নিবিষ্টমনে সুর তার চঞ্চল কটাক্ষ দৃষ্টি করিতেছে, তাহার হৃদয়ে ঐ কটাক্ষের মাধুর্যেই এই সকলের সম্পূর্ণ কৃৰ্ত্তি হইতেছে । এই যুব গোবিন্দলাল -ঐ যুবতী রোহিণী -এই গৃহ গোবিন্দলাল ক্রয় কবিয়াছেন । এইখানেই ঈহারা স্থায়ী । অকস্মাং রোহিণীর অবল বেসুর বলিল । ওস্তাদ স্ত্রীর ভঙ্গুরার তার ছিড়িল, তার গলায় বিষম লাগিল, গীত বন্ধ হইল, গোবিন্দলালের হাতের নভেল পড়িয় গেল । সেই সময় সেই প্রমোদশৃহের দ্বারে এক জন 8૧ অপরিচিত যুবপুরুষ প্রবেশ করিল। আমরা তাহাকে চিনি—সে নিশাকর দাস । ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ দ্বিতল অট্টালিকার উপরতলে রোহিণীর বাস– তিনি হাপাপর্দানসীন । নিম্নভলে ভৃত্যগণ বাস করে। সে বিজনমধ্যে প্রাধু কেইষ্ট কখনই গোবিন্দলালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে আসি ত ন! --সুতরাং সেখানে বহিৰ্ব্বাটীর প্রয়োজন ছিল না । যদি কালে ভদ্রে কোন দোকানদার বা অপর কেহ আসিত, উপরে বাবুর কাছে সবাদ যাইত, বাবু নীচে আসিয়া তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতেন । অতএব বাবুর বসিবার জন্য নীচেও একটি ঘর ছিল । নিম্নভলে দ্বারে আসিয়। দাড়াইয়া নিশাকর দাস কহিলেন, “কে আছে গ৷ এখানে ?” গোবিন্দলালের সোনা রূপে নামে এই ভূত্য ছিল । মহন্যের শব্দে কৃষ্ট জনেই দ্বারের নিকট আসিয়া নিশাকরকে দেখিয় বিস্মিত হইল—নিশাকরকে দেখিয়াই বিশেষ ভদ্রলোক বলিয়া বোধ হইল । নিশাকরও বেশভূষাসম্বন্ধে একটু জাক করিয়া গিয়াছেন । সেরূপ লোক কখন সে চৌকাঠ মাড়ায় নাই –দেখিয়! ভূত্যের পরস্পর মুখ চাওয়াচাওয়ি করিতে লাগিল সোন জিজ্ঞাসা করিল, “আপনি কাকে খুঁজেন ?" নিশা । তোমাদেরই । বাবুকে সংবাদ দাও ষে, একটি ভদ্রলোক সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছে । সোনা । কি নাম বলিব ? নিশা । নামের প্রয়োজনই বা কি ? একটি ভদ্রলোক বলিয়া বলিও । এখন চাকরের জানিত যে কোন ভদ্রলোকের সঙ্গে বাবু সাক্ষাৎ করেন না—সেরূপ স্বভাবই নয় । সুতরাং চাকরের সংবাদ দিতে বড় ইচ্ছুক ছিল না। সোন ইতস্ততঃ করিতে লাগিল । রূপে বলিল, “আপনি অনর্থক আসিয়াছেন- বাবু কাহারও সহিত সাক্ষাৎ করেন না। " নিশা । তবে তোমরা থাক, আমি বিনা সংবাদেষ্ট উপরে সাঈতেছি । চাকরের ফঁাপরে পড়িল । আমাদের চাকরী যাবে।" নিশাকর তখন একটি টাকা বাহির করিয়া বলিলেন, “মে সংবাদ করিবে. তাহার এই টাকা ।” বলিল “না মহাশয়,